মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসা আবেদনের সময় আর মাত্র ৩ দিন
- আপডেটের সময় : ১০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
- / 2713
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের কলিং ভিসা আবেদনের সময় আছে আর মাত্র ৩ দিন মার্চের মধ্যে ভিসা আবেদনের সময় শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু এপ্রিলের শুরুতে আগের বেধে দেয়া সময় বাড়ানো হয় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিবাসন বিভাগে রেফারেন্সসহ (ভিডিআর) অনুমোদন পত্রের জন্য কলিং ভিসার আবেদনের সময়সীমা ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত করে মালয়েশিয়া সরকার। বাংলাদেশ থেকে এখনো যারা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন, ২১ এপ্রিলের মধ্যে তাদের নামে কলিং ভিসা ইস্যু হতে হবে আর ই-ভিসার জন্য আবেদনের শেষ সময় ১৭ মে
এই সময় বাড়ানোর কারণ হিসেবে ৪ এপ্রিল মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ১ লাখ ৩২ হাজার কর্মীর অনুমোদিত কোটার মধ্যে অনেক নিয়োগদাতা এখনও ভিডিআর-এর জন্য আবেদন করেনি। সেইসাথে ২১, ২২, ২৩,২৭,২৮ ও ২৯ মার্চ বিদেশি কর্মী অনলাইন পদ্ধতি, ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (এফডব্লিউসিএমএস) কারিগরি সমস্যা হয়েছিল মেয়াদ বাড়ানোর ফলে প্রকৃত নিয়োগকারীদের ভিডিআর অনুমোদন পত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাবে
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের অন্যতম ব্যবসায়ী ও বায়বা’র সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন জানিয়েছন, অনুমোদন পাওয়া চাহিদাপত্রের অনুকূলে কর্মীদের ৩১ মে ২০২৪ এর মধ্যে অবশ্যই মালয়েশিয়ায় পাঠাতে হবে তিনি জানান, ১৭ মে ই-ভিসার জন্য আবেদন জমা দেয়ার শেষ সময়। আর ৩১ মে ২০২৪ এর মধ্যে আগের সকল অনুমোদনের কর্মী মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে হবে এরপর পুরানো অ্যাপ্রুভালে বা অনুমোদনের চাহিদাপত্রে জুন মাস থেকে আর কোনো কর্মী নিবে না মালয়েশিয়া সরকার জুন মাসের পর পুরাতন সকল অ্যাপ্রুভাল বাতিল হয়ে যাবে।
রুহুল আমিন স্বপন বলেন, যে সমস্ত অ্যাপ্রুভালে কোম্পানি কর্মী নেয় নাই এবং যারা গিয়ে কাজ পায় নাই, সেসব কোম্পানি নতুন করে কলিং ভিসায় কর্মী নিতে পারবে না। এছাড়া যে সমস্ত কোম্পানিতে অভিযোগ আছে তাদের আর কলিং ভিসা দিবে না। তাহলে আর নতুন করে কোনো সমস্যা হবে না।
কলিং ভিসা কী এবং কিভাবে এই ভিসা ইস্যু হয়:
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বিদেশি কর্মী নিয়োগ পদ্ধতি বেশ কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয় (সম্পূর্ণ পদ্ধতি জানতে – ক্লিক করুন) কলিং ভিসা সেগুলোর মধ্যে একটি বিদেশি কর্মী নিয়োগের প্রথমে মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা তাদের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কোটা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে অনুমোদন পাওয়ার পর বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইং থেকে সত্যায়ন নিতে হয় এরপর বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ অনুমতি নিবে রিক্রুটিং এজেন্সি
মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ অনুমতির পর কর্মীর যাবতীয় কাগজপত্র মালয়েশিয়ায় নিয়োগদাতার কাছে পাঠানো হয় নিয়োগদাতা তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কলিং ভিসার জন্য আবেদন করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ কর্মীর নামে কলিং ভিসা ইস্যুৃ করে
সেই কলিং ভিসা এরপর বাংলাদেশে পাঠানো হয় এবং ই-ভিসা নিতে হয় যদিও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এখন ই-ভিসার জন্য নিয়োগদাতাকেই মালয়েশিয়া সরকারের কাছে সরাসরি আবেদন করতে হয় আগে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারতো ই-ভিসা হওয়ার পর বিএমইটি ক্লিয়ারেন্সের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সি আবেদন করে বিএমইটি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড ইস্যু হয় কর্মী নামে এই সবগুলো ধাপ সম্পন্ন হলেই একজন কর্মী বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন