ঢাকা , বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / 310

 

পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকি মাত্র কয়েকদিন। স্থানীয় বিপণিবিতানে ক্রেতার পদচারণায় মুখর। বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতার পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে মালয়েশিয়ার ঈদ বাজার।

 

যদিও রাজধানী কুয়ালালামপুরের অনেক বাসিন্দা আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য তাদের নিজ শহরে ফিরে যেতে শুরু করেছেন। তবে অনেকে এখনো রাজধানীতে রয়েছেন এবং শেষ সময়ে কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন।

 

 

কেনাকাটার জন্য জনপ্রিয় স্থান হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকটি শপিংমল সোমবার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি শপিংমলে ক্রেতাদের ভিড়। ইফতারের পর ভিড় আরও বেড়ে যায়।

 

কুয়ালালামপুরের সগো শপিংমলের বাথ অ্যান্ড বডি ওয়ার্কস আউটলেটের সহকারী ব্যবস্থাপক অ্যামি আরিফিন বলেন, শেষ সময়ে ক্রেতাদের ভিড় উৎসবের বাতাস বয়ে এনেছে।

 

মসজিদ ইন্ডিয়ার প্রসিদ্ধ জেকেল মলের বাজু মেলায়ুর কর্মী সিতি, প্রায় একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ক্রেতারা সাধারণত বিকেলে ৪টার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আসতে শুরু করেন। প্রতিদিন অনেক ক্রেতা সমাগম ঘটে। শুধু যে শেষ মুহূর্তের কেনা কাটায় ক্রেতা সমাগম বেড়েছে।

 

জেকেল মলে মা বাবা ভাই বোনদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন মেলাকার নূরিয়া (২৪)। তিনি জানান, বাড়ি ফেরার আগে ঈদের কেনাকাটা সারছেন তিনি।

 

 

নূরিয়া বলেন, আলহামদুলিল্লাহ এবারের প্রস্তুতি আগের তুলনায় অনেক বেশি। উৎসবমুখর পরিবেশে পরিবারের সবার জন্য কেনাকাট করছি। অনেক দোকানে প্রায় ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পণ্য কেনা যাচ্ছে।

 

এদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানে প্রবাসীদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও ভিড় করছেন পছন্দের পোশাক কিনতে। কেনাকাটার জন্য প্রবাসীরা ভিড় করছেন কুয়ালালামপুরের বড় বড় ফ্যাশন হাউজে।

 

প্রবাসে থেকেও পছন্দের দেশীয় পোশাক কিনতে পেরে খুশি প্রবাসীরা। নেত্রকোনার ইমামুল (২৬) নতুন কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া এসেছেন। ইমামুল নিজের জন্য শার্ট আর প্যান্ট কিনেছেন। পাশাপাশি দেশে থাকা মা বোনদের ঈদের জামা কেনার জন্য টাকা পাঠিয়েছেন। ইমামুলের মতে পরিবার ছাড়া এই প্রথম দেশের বাইরে ঈদ করব। মিস করছি পরিবারের সবাইকে। পরিবার পরিজনরা খুশি মত ঈদ করতে পারলেই আমার আনন্দ। তার মতো অনেকেই দেশে থাকা তাদের পরিবার ও স্বজনদের টাকা পাঠিয়েছেন। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিক্রেতাদের আশা, সামনে এ চাহিদা আরও বাড়বে। প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে ঈদ উপলক্ষে এবার বাংলাদেশি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিয়েছে বিশেষ মূল্যছাড়।

 

বিক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়ায় ভবিষ্যতে ঈদ বাজারে আরও বড় পরিসরে দেশীয় পোশাক আনার কথা জানান প্রবাসি ব্যবসায়ীরা। কেনাঙ্গা শপিং মল (হানতুয়া) কাপড় ব্যবসায়ী আনোয়ার বলেন, ঈদের শেষ মুহূর্তে বিক্রি বাড়াতে বেশ কয়েকটি পণ্য আকর্ষণীয় ছাড় দিয়েছি। শেষ মুহূর্তে আরও বেশি ক্রেতা সমাগম ঘটবে বলে আশা ব্যবসাীদের।

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

আপডেটের সময় : ০৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

 

পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকি মাত্র কয়েকদিন। স্থানীয় বিপণিবিতানে ক্রেতার পদচারণায় মুখর। বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতার পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে মালয়েশিয়ার ঈদ বাজার।

 

যদিও রাজধানী কুয়ালালামপুরের অনেক বাসিন্দা আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য তাদের নিজ শহরে ফিরে যেতে শুরু করেছেন। তবে অনেকে এখনো রাজধানীতে রয়েছেন এবং শেষ সময়ে কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন।

 

 

কেনাকাটার জন্য জনপ্রিয় স্থান হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকটি শপিংমল সোমবার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি শপিংমলে ক্রেতাদের ভিড়। ইফতারের পর ভিড় আরও বেড়ে যায়।

 

কুয়ালালামপুরের সগো শপিংমলের বাথ অ্যান্ড বডি ওয়ার্কস আউটলেটের সহকারী ব্যবস্থাপক অ্যামি আরিফিন বলেন, শেষ সময়ে ক্রেতাদের ভিড় উৎসবের বাতাস বয়ে এনেছে।

 

মসজিদ ইন্ডিয়ার প্রসিদ্ধ জেকেল মলের বাজু মেলায়ুর কর্মী সিতি, প্রায় একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ক্রেতারা সাধারণত বিকেলে ৪টার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আসতে শুরু করেন। প্রতিদিন অনেক ক্রেতা সমাগম ঘটে। শুধু যে শেষ মুহূর্তের কেনা কাটায় ক্রেতা সমাগম বেড়েছে।

 

জেকেল মলে মা বাবা ভাই বোনদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন মেলাকার নূরিয়া (২৪)। তিনি জানান, বাড়ি ফেরার আগে ঈদের কেনাকাটা সারছেন তিনি।

 

 

নূরিয়া বলেন, আলহামদুলিল্লাহ এবারের প্রস্তুতি আগের তুলনায় অনেক বেশি। উৎসবমুখর পরিবেশে পরিবারের সবার জন্য কেনাকাট করছি। অনেক দোকানে প্রায় ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পণ্য কেনা যাচ্ছে।

 

এদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানে প্রবাসীদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও ভিড় করছেন পছন্দের পোশাক কিনতে। কেনাকাটার জন্য প্রবাসীরা ভিড় করছেন কুয়ালালামপুরের বড় বড় ফ্যাশন হাউজে।

 

প্রবাসে থেকেও পছন্দের দেশীয় পোশাক কিনতে পেরে খুশি প্রবাসীরা। নেত্রকোনার ইমামুল (২৬) নতুন কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া এসেছেন। ইমামুল নিজের জন্য শার্ট আর প্যান্ট কিনেছেন। পাশাপাশি দেশে থাকা মা বোনদের ঈদের জামা কেনার জন্য টাকা পাঠিয়েছেন। ইমামুলের মতে পরিবার ছাড়া এই প্রথম দেশের বাইরে ঈদ করব। মিস করছি পরিবারের সবাইকে। পরিবার পরিজনরা খুশি মত ঈদ করতে পারলেই আমার আনন্দ। তার মতো অনেকেই দেশে থাকা তাদের পরিবার ও স্বজনদের টাকা পাঠিয়েছেন। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিক্রেতাদের আশা, সামনে এ চাহিদা আরও বাড়বে। প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে ঈদ উপলক্ষে এবার বাংলাদেশি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিয়েছে বিশেষ মূল্যছাড়।

 

বিক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়ায় ভবিষ্যতে ঈদ বাজারে আরও বড় পরিসরে দেশীয় পোশাক আনার কথা জানান প্রবাসি ব্যবসায়ীরা। কেনাঙ্গা শপিং মল (হানতুয়া) কাপড় ব্যবসায়ী আনোয়ার বলেন, ঈদের শেষ মুহূর্তে বিক্রি বাড়াতে বেশ কয়েকটি পণ্য আকর্ষণীয় ছাড় দিয়েছি। শেষ মুহূর্তে আরও বেশি ক্রেতা সমাগম ঘটবে বলে আশা ব্যবসাীদের।