ঢাকা , সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় বিদেশি ক‍‍র্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ পদ্ধতি জেনে নিন

প্রবাস বা‍র্তা ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
  • / 996

 

 

মালয়েশিয়ায় বিদেশি ক‍‍র্মী নিয়োগের পুরো পদ্ধতি বেশ কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়৤  মালয়েশিয়ার সরকার ও নিয়োগদাতা এবং ক‍‍র্মী পাঠানো দেশের রিক্রুটিং এজেন্সি ও সরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক‍‍র্মী নিয়োগের ধাপগুলো সম্পন্ন হয়৤ আর পুরো কাজ হয় অনলাইনে৤

 

কোটা অনুমোদন: প্রথমে মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান (কোম্পানী) ক‍‍র্মী নিয়োগের সংখ্যা উল্লেখ করে সেদেশের সরকারের কাছে কোটা অ্যাপ্রুভাল বা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন৤  মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যাচাই বাছাই করে সেই কোটা (চাহিদাপত্র) অনুমোদন দেয়৤

 

সত্যায়ন:  এরপর বাংলাদেশের হাইকমিশনে সত্যায়নের জন্য জামা দেয়া হয়৤  হাইকমিশনের শ্রমকল্যাণ উইং (নীতিমালা অনুযায়ি) যাচাই-বাছাই করে সত্যায়ন করে থাকে৤

 

নিয়োগ অনুমতি: সেই সত্যায়িত চাহিদাপত্র বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক ক‍‍র্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘নিয়োগ অনুমতি’র জন্য জমা দেয় সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি৤ মন্ত্রণালয় ক‍‍র্মী নিয়োগের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে নিয়োগ অনুমতি দেয়৤

 

কলিং ভিসা: রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়োগ অনুমতির আলোকে বাংলাদেশি ক‍‍র্মীর পাসপো‍‍র্টের কপি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপো‍‍র্টসহ  প্রয়োজনীয় তথ্য মালয়েশিয়ায় নিয়োগদাতার কাছে (মনোনিত প্রতিনিধি) পাঠায় কলিং ভিসার জন্য৤ এরপর ক‍‍র্মীর নামে মালয়েশিয়ার সরকার কলিং ভিসা দেয়৤

 

ই-ভিসা: কলিং ভিসা পাওয়ার পরে রিক্রুটিং এজেন্সি ক‍‍র্মীর নামে ই-ভিসার জন্য নি‍‍র্ধারিত প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবেদন করে৤ আগে এই ই-ভিসা স্টিকার ভিসা ছিল এবং ক‍‍র্মীর পাসপো‍‍র্টে স্টিকার ভিসা দেয়া হতো৤ নতুন ঘোষণা অনুযায়ি মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা সরাসরি তাদের জন্য নি‍‍র্ধারিত মাইভিসা (MYVISA) পোর্টালের মাধ্যমে  ই-ভিসার জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগে আবেদন করতে পারছেন৤

 

বিএমইটি ছাড়পত্র:  ই-ভিসা ইস্যু হলে জনশক্তি ক‍‍র্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমইটি থেকে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স বা বহি‍‍র্গমন ছাড়পত্র (বিএমইটি স্মা‍‍র্টকা‍‍র্ড) পেতে রিক্রুটিং এজেন্সি আবেদন করে৤ বিএমইটি’র ছাড়পত্র বা স্মা‍‍র্টকা‍‍র্ড পেলেই একজন ক‍‍র্মী বৈধ পদ্ধতি বা আইন অনুযায়ি সকল ধাপ সম্পন্ন করে মালয়েশিয়া যেতে পারেন৤

 

২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার সাথে ৪ বছর পর শ্রমবাজার সম্প‍‍র্কিত সমঝোতা স্মারক সই হয়৤ এরপর ২ জুন ২০২২ ঢাকায় দু’দেশের যৌথ ওয়া‍‍র্কিং গ্রুপের বৈঠক হয়৤ মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান নিজেও অংশ নেন সেই বৈঠকে৤ বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সেসময়ের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক ক‍‍র্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ৤ সেদিনই শ্রমবাজার খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়৤ প্রথমে ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ক‍‍র্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া৤ এরপর দুই ধারে আরো ৭৫ রিক্রুটিং এজেন্সি বাড়িয়ে ক‍‍র্মী পাঠানোর অনুমোদন দেয় দেশটি৤ এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সা‍‍র্ভিসেস লিমিটেড- বোয়েসেল যুক্ত হয় তালিকায়৤ ফলে মোট ১০১ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ৪ লাখের বেশি ক‍‍র্মী গেছে দেশটিতে৤

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় বিদেশি ক‍‍র্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ পদ্ধতি জেনে নিন

আপডেটের সময় : ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

 

 

মালয়েশিয়ায় বিদেশি ক‍‍র্মী নিয়োগের পুরো পদ্ধতি বেশ কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়৤  মালয়েশিয়ার সরকার ও নিয়োগদাতা এবং ক‍‍র্মী পাঠানো দেশের রিক্রুটিং এজেন্সি ও সরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক‍‍র্মী নিয়োগের ধাপগুলো সম্পন্ন হয়৤ আর পুরো কাজ হয় অনলাইনে৤

 

কোটা অনুমোদন: প্রথমে মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান (কোম্পানী) ক‍‍র্মী নিয়োগের সংখ্যা উল্লেখ করে সেদেশের সরকারের কাছে কোটা অ্যাপ্রুভাল বা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন৤  মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যাচাই বাছাই করে সেই কোটা (চাহিদাপত্র) অনুমোদন দেয়৤

 

সত্যায়ন:  এরপর বাংলাদেশের হাইকমিশনে সত্যায়নের জন্য জামা দেয়া হয়৤  হাইকমিশনের শ্রমকল্যাণ উইং (নীতিমালা অনুযায়ি) যাচাই-বাছাই করে সত্যায়ন করে থাকে৤

 

নিয়োগ অনুমতি: সেই সত্যায়িত চাহিদাপত্র বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক ক‍‍র্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘নিয়োগ অনুমতি’র জন্য জমা দেয় সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি৤ মন্ত্রণালয় ক‍‍র্মী নিয়োগের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে নিয়োগ অনুমতি দেয়৤

 

কলিং ভিসা: রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়োগ অনুমতির আলোকে বাংলাদেশি ক‍‍র্মীর পাসপো‍‍র্টের কপি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপো‍‍র্টসহ  প্রয়োজনীয় তথ্য মালয়েশিয়ায় নিয়োগদাতার কাছে (মনোনিত প্রতিনিধি) পাঠায় কলিং ভিসার জন্য৤ এরপর ক‍‍র্মীর নামে মালয়েশিয়ার সরকার কলিং ভিসা দেয়৤

 

ই-ভিসা: কলিং ভিসা পাওয়ার পরে রিক্রুটিং এজেন্সি ক‍‍র্মীর নামে ই-ভিসার জন্য নি‍‍র্ধারিত প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবেদন করে৤ আগে এই ই-ভিসা স্টিকার ভিসা ছিল এবং ক‍‍র্মীর পাসপো‍‍র্টে স্টিকার ভিসা দেয়া হতো৤ নতুন ঘোষণা অনুযায়ি মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা সরাসরি তাদের জন্য নি‍‍র্ধারিত মাইভিসা (MYVISA) পোর্টালের মাধ্যমে  ই-ভিসার জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগে আবেদন করতে পারছেন৤

 

বিএমইটি ছাড়পত্র:  ই-ভিসা ইস্যু হলে জনশক্তি ক‍‍র্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমইটি থেকে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স বা বহি‍‍র্গমন ছাড়পত্র (বিএমইটি স্মা‍‍র্টকা‍‍র্ড) পেতে রিক্রুটিং এজেন্সি আবেদন করে৤ বিএমইটি’র ছাড়পত্র বা স্মা‍‍র্টকা‍‍র্ড পেলেই একজন ক‍‍র্মী বৈধ পদ্ধতি বা আইন অনুযায়ি সকল ধাপ সম্পন্ন করে মালয়েশিয়া যেতে পারেন৤

 

২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার সাথে ৪ বছর পর শ্রমবাজার সম্প‍‍র্কিত সমঝোতা স্মারক সই হয়৤ এরপর ২ জুন ২০২২ ঢাকায় দু’দেশের যৌথ ওয়া‍‍র্কিং গ্রুপের বৈঠক হয়৤ মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান নিজেও অংশ নেন সেই বৈঠকে৤ বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সেসময়ের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক ক‍‍র্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ৤ সেদিনই শ্রমবাজার খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়৤ প্রথমে ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ক‍‍র্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া৤ এরপর দুই ধারে আরো ৭৫ রিক্রুটিং এজেন্সি বাড়িয়ে ক‍‍র্মী পাঠানোর অনুমোদন দেয় দেশটি৤ এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সা‍‍র্ভিসেস লিমিটেড- বোয়েসেল যুক্ত হয় তালিকায়৤ ফলে মোট ১০১ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ৪ লাখের বেশি ক‍‍র্মী গেছে দেশটিতে৤