মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ পদ্ধতি জেনে নিন

- আপডেটের সময় : ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
- / 996
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের পুরো পদ্ধতি বেশ কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয় মালয়েশিয়ার সরকার ও নিয়োগদাতা এবং কর্মী পাঠানো দেশের রিক্রুটিং এজেন্সি ও সরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের ধাপগুলো সম্পন্ন হয় আর পুরো কাজ হয় অনলাইনে
কোটা অনুমোদন: প্রথমে মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান (কোম্পানী) কর্মী নিয়োগের সংখ্যা উল্লেখ করে সেদেশের সরকারের কাছে কোটা অ্যাপ্রুভাল বা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যাচাই বাছাই করে সেই কোটা (চাহিদাপত্র) অনুমোদন দেয়
সত্যায়ন: এরপর বাংলাদেশের হাইকমিশনে সত্যায়নের জন্য জামা দেয়া হয় হাইকমিশনের শ্রমকল্যাণ উইং (নীতিমালা অনুযায়ি) যাচাই-বাছাই করে সত্যায়ন করে থাকে
নিয়োগ অনুমতি: সেই সত্যায়িত চাহিদাপত্র বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘নিয়োগ অনুমতি’র জন্য জমা দেয় সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি মন্ত্রণালয় কর্মী নিয়োগের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে নিয়োগ অনুমতি দেয়
কলিং ভিসা: রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়োগ অনুমতির আলোকে বাংলাদেশি কর্মীর পাসপোর্টের কপি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টসহ প্রয়োজনীয় তথ্য মালয়েশিয়ায় নিয়োগদাতার কাছে (মনোনিত প্রতিনিধি) পাঠায় কলিং ভিসার জন্য এরপর কর্মীর নামে মালয়েশিয়ার সরকার কলিং ভিসা দেয়
ই-ভিসা: কলিং ভিসা পাওয়ার পরে রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মীর নামে ই-ভিসার জন্য নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবেদন করে আগে এই ই-ভিসা স্টিকার ভিসা ছিল এবং কর্মীর পাসপোর্টে স্টিকার ভিসা দেয়া হতো নতুন ঘোষণা অনুযায়ি মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা সরাসরি তাদের জন্য নির্ধারিত মাইভিসা (MYVISA) পোর্টালের মাধ্যমে ই-ভিসার জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগে আবেদন করতে পারছেন
বিএমইটি ছাড়পত্র: ই-ভিসা ইস্যু হলে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমইটি থেকে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স বা বহির্গমন ছাড়পত্র (বিএমইটি স্মার্টকার্ড) পেতে রিক্রুটিং এজেন্সি আবেদন করে বিএমইটি’র ছাড়পত্র বা স্মার্টকার্ড পেলেই একজন কর্মী বৈধ পদ্ধতি বা আইন অনুযায়ি সকল ধাপ সম্পন্ন করে মালয়েশিয়া যেতে পারেন
২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার সাথে ৪ বছর পর শ্রমবাজার সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক সই হয় এরপর ২ জুন ২০২২ ঢাকায় দু’দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হয় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান নিজেও অংশ নেন সেই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সেসময়ের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ সেদিনই শ্রমবাজার খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয় প্রথমে ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া এরপর দুই ধারে আরো ৭৫ রিক্রুটিং এজেন্সি বাড়িয়ে কর্মী পাঠানোর অনুমোদন দেয় দেশটি এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড- বোয়েসেল যুক্ত হয় তালিকায় ফলে মোট ১০১ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ৪ লাখের বেশি কর্মী গেছে দেশটিতে