ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট না মানলে ক‍র্মী পাঠানো অনিশ্চিত! বৈদেশিক ক‍র্মসংস্থানে রিক্রুটিং এজেন্সির ভূমিকা ও বাস্তবতা: মোবারক উল্ল্যাহ শিমুল মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে হাইকমিশনের ঈদ পুনর্মিলনী ও আনন্দ উৎসব নি‍র্বাচনে এআই প্রযুক্তির ঝুঁকি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে সরকারকে লন্ডনের ঘোষণা ও এনসিপি-জামায়াতের গাত্রদাহ: গণতন্ত্রের পথে আরেকটি মাইলফলক বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ক‍র্মী নেবে জাপান ‘মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম থাকবে না’ মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের শিকার কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় আসিফ নজরুল ইতালিতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে :ড. আসিফ নজরুল মালয়েশিয়াজুড়ে টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন, বাংলাদেশিসহ ১২৭০ অভিবাসী আটক

কুয়ালালামপুরে স্বাধীনতার ৫৩ তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ১১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
  • / 226

 

যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫৩ তম বার্ষিকী এবং জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন করেছে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন। এ বছরের ২৬শে মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের দিনটি রমজান মাসে পড়ায়, বাংলাদেশ হাইকমিশন স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি ৮ মার্চ শুক্রবার রাতে রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি পাঁচতারকা হোটেলে এ উপলক্ষ্যে একটি কূটনৈতিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কিয়ং । স্বাধীনতার ৫৩ তম বার্ষিকী এবং জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে স্টিভেন সিম চি কিয়ং, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান এবং হাইকমিশনারের সহধর্মিণী, মিসেস প্যান্ডোরা চৌধুরীর সাথে কেক কাটেন এবং আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং মন্ত্রী তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

 

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’- হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।

 

হাইকমিশনার বলেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকে গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক মালয়েশিয়া সফর স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়ার কূটনীতিক সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল। তিনি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও ঐতিহাসিক বন্ধনের উপর ভিত্তি করে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জ্বালানি, পর্যটন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করেছে। বাংলাদেশের হাইকমিশনার রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে মালয়েশিয়ার জোরালো সমর্থনের গভীর প্রশংসা করেন।

 

অনুষ্ঠানস্থলে সুসজ্জিত বাংলাদেশ কর্নারে ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য ও হস্তশিল্প প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ক প্রকাশনা কর্নারে স্থান পায় যা অতিথিদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সাফল্যের গল্পের সচিত্র বর্ণনাসহ অডিটোরিয়ামটি সুসজ্জিত করা হয়েছিল। বাংলাদেশের পর্যটন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বিনিয়োগ এবং দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় অনুষ্ঠানে।

 

এছারা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, কূটনীতিক, মালয়েশিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তি, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ী ও চেম্বার নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের সদস্য এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তাসহ প্রায় ৪০০ অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

কুয়ালালামপুরে স্বাধীনতার ৫৩ তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন

আপডেটের সময় : ১১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

 

যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫৩ তম বার্ষিকী এবং জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন করেছে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন। এ বছরের ২৬শে মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের দিনটি রমজান মাসে পড়ায়, বাংলাদেশ হাইকমিশন স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি ৮ মার্চ শুক্রবার রাতে রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি পাঁচতারকা হোটেলে এ উপলক্ষ্যে একটি কূটনৈতিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কিয়ং । স্বাধীনতার ৫৩ তম বার্ষিকী এবং জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে স্টিভেন সিম চি কিয়ং, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান এবং হাইকমিশনারের সহধর্মিণী, মিসেস প্যান্ডোরা চৌধুরীর সাথে কেক কাটেন এবং আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং মন্ত্রী তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

 

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’- হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।

 

হাইকমিশনার বলেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকে গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক মালয়েশিয়া সফর স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়ার কূটনীতিক সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল। তিনি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও ঐতিহাসিক বন্ধনের উপর ভিত্তি করে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জ্বালানি, পর্যটন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করেছে। বাংলাদেশের হাইকমিশনার রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে মালয়েশিয়ার জোরালো সমর্থনের গভীর প্রশংসা করেন।

 

অনুষ্ঠানস্থলে সুসজ্জিত বাংলাদেশ কর্নারে ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য ও হস্তশিল্প প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ক প্রকাশনা কর্নারে স্থান পায় যা অতিথিদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সাফল্যের গল্পের সচিত্র বর্ণনাসহ অডিটোরিয়ামটি সুসজ্জিত করা হয়েছিল। বাংলাদেশের পর্যটন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বিনিয়োগ এবং দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় অনুষ্ঠানে।

 

এছারা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, কূটনীতিক, মালয়েশিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তি, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ী ও চেম্বার নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের সদস্য এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তাসহ প্রায় ৪০০ অতিথি উপস্থিত ছিলেন।