৩১ মে’র আগেই মালয়েশিয়ায় পাঠাতে হবে অনুমোদিত চাহিদাপত্রের সকল কর্মী

- আপডেটের সময় : ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪
- / 1376
অনুমোদন পাওয়া চাহিদাপত্রের অনুকূলে কর্মীদের ৩১ মে ২০২৪ এর মধ্যে অবশ্যই মালয়েশিয়ায় পাঠাতে হবে এর পর আগের অনুমোদিত চাহিদাপত্রের কোন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন না মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের অন্যতম ব্যবসায়ি ও বায়বা’র সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন এসব তথ্য জানিয়েছেন
শনিবার ( ২ মার্চ ২০২৪) বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন বাংলা টিভি’র এম এম বাদশা’র উপস্থাপনায় লাইভ টকশো ‘প্রবাস সংলাপ’-এ বায়রার সাবেক মহাসচিব ও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের অন্যতম ব্যবসায়ি রুহুল আমিন স্বপন এসব কথা বলেন বাংলাভিনের প্রবাস খাতের সিনিয়র রিপোর্টার ও রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস- আরবিএম’র সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ হোসেন গাজী’র পর্যবেক্ষণের আলোকে দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রুহুল আমিন স্বপন বলেন, এখন মূল সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে তাই সমাধানও সহজ হবে
মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতাদেরকে বিদেশি কর্মী নিয়োগে সেদেশের সরকারের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার কারণেই পুরো প্রক্রিয়ায় অনিয়ম থেকে যাচ্ছে এর ফলে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো কর্মীদের অনেকেই সঠিকভাবে কোম্পানীতে কাজ পাচ্ছে না তাই এই অনুমোদন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করছেন বায়রার সাবেক মহাসচিব ও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের অন্যতম ব্যবসায়ি রুহুল আমিন স্বপন এসব কথা বলেন
তিনি আরো বলেন, কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া সরকার কঠোর কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বিশেষ করে বিদেশি কর্মী নিয়োগে ভুয়া বা নামেমাত্র কোম্পানীকে আর কোন কর্মী আনতে দিবে না শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে সেসব কোম্পানীকে আর কোন বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমোদনও দেয়া হবে না
এরই অংশ হিসেবে, আগের অনৃুমোদন নেয়া চাহিদাপত্রে কর্মী নিয়োগে কলিং ভিসা জমা দেয়ার সময় বেধে দেয়া হয়েছে চলতি বছরের ৩০ মার্চ, ১৭ মে ই-ভিসা জমা দেয়ার শেষ সময়। আর ৩১ মে ২০২৪ এর মধ্যে আগের সকল অনুমোদনের কর্মী মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে হবে এরপর পুরানো অ্যাপ্রুভালে বা অনুমোদনের চাহিদাপত্রে জুন মাস থেকে আর কোনো কর্মী নিবে না মালয়েশিয়া সরকারজুন মাসের পর পুরানো সকল অ্যাপ্রুভাল বাতিল হয়ে যাবে। যে সমস্ত অ্যাপ্রুভালে কোম্পানি কর্মী নেয় নাই এবং যারা গিয়ে কাজ পায় নাই, সেসব কোম্পানি নতুন করে কলিং ভিসায় কর্মী নিতে পারবে না। এছাড়া যে সমস্ত কোম্পানিতে অভিযোগ আছে তাদের আর কলিং ভিসা দিবে না। তাহলে আর নতুন করে কোনো সমস্যা হবে না।
এরপর যে সমস্ত অবৈধ কর্মী আছে তাদেরকে একটি বৈধ প্রসেসের মধ্যে নিয়ে আসবে, আর যারা আসবে না তাদেরকে দেশে পাঠানো হবে। এইসব কাজ শেষ হলে মালয়েশিয়া আবার নতুন করে কর্মী নেয়া শুরু করবে। তখন কর্মীরা গিয়েও সমস্যায় পড়বে না বলে মনে করেন মালয়েশিয়া শ্রমবাজারের প্রভাবশালী এই ব্যবসায়ী
২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার সাথে ৪ বছর পর শ্রমবাজার সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক সই হয় এরপর ২ জুন ২০২২ ঢাকায় দু’দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হয় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান নিজেও অংশ নেন সেই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সেসময়ের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ সেদিনই শ্রমবাজার খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয় প্রথমে ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া এরপর দুই ধারে আরো ৭৫ রিক্রুটিং এজেন্সি বাড়িয়ে কর্মী পাঠানোর অনুমোদন দেয় দেশটি এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড- বোয়েসেল যুক্ত হয় তালিকায় ফলে মোট ১০১ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ৪ লাখের বেশি কর্মী গেছে দেশটিতে
বিপুল সংখ্যক কর্মী মালয়েশিয়ায় গেলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ি ও মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়িরা নামে মাত্র কোম্পানীতে কর্মী পাঠিয়ে এই শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোয় বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করছে এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ি ও মালয়েশিয়ার সরকার কর্মী নিয়োগ পদ্ধতিতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে