বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস। সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় দূতাবাসের ডিপ্লোম্যাটিক কোয়ার্টারে অবস্থিত কালচারাল সেন্টারে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিয়াদের ডেপুটি গভর্নর ড. ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ আল সুদাইরী।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) গভীর শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। এছাড়া সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের জন্য সৌদি বাদশাহ ও ক্রাউন প্রিন্সকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক  এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে যা আগামী দিনে ব্যবসা, বিনিয়োগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মানবসম্পদ, পরিবেশসহ বিভিন্ন খাতে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। সৌদি আরবের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন এবং এর ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেন জাবেদ পাটোয়ারী।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনের জন্য ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এরপর প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের নিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কেক কাটেন মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। অনুষ্ঠানে রিয়াদ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি মনোমুগ্ধকর দলীয় নৃত্য এবং বাংলাদেশি কারুপণ্য নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিদেশি অতিথিরা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশি সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। মহান স্বাধীনতা দিবস এ বছর পবিত্র রমজান মাসে হওয়ায় গতকাল এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল বিভাগের ডেপুটি মিনিস্টার আব্দুল মাজিদ বিন রাশিদ আল সামারী, সৌদি বাংলাদেশ সংসদীয় ফ্রেন্ডশিপ কমিটির চেয়্যারম্যান খালেদ মোহাম্মদ আল বাওয়ার্দীসহ শুরা কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, সৌদি আরবের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চেম্বার প্রতিনিধি এবং রিয়াদের বিভিন্ন মিশনের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক যোগদান করেন। এছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিটির চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার শতাধিক অভিবাসী।