ঢাকা , রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৪৯ অবৈধ অভিবাসী আটক আজীবন সম্মাননা পেলেন মালয়েশিয়ার সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এশিয়া জুড়ে নতুন প্রতিভাদের প্ল্যাটফর্ম ‘এশিয়ান কে-পপ স্টারস’ প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে : প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারও সিন্ডিকেটের পাঁয়তারা বিডিএক্সপ্যাটস এর উদ্যোগে কুয়ালালামপুরে বসছে “বৈশাখী মেলা” মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সাথে হাইকমিশনারের মতবিনিময় মালয়েশিয়ায় দেড় শতাধিক বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক মালয়েশিয়ায় এক প্রবাসীর মৃত্যুর পর রাস্তায় ফেলে রাখলো রুমমেটরা মালয়েশিয়ায় ৩ মাসে বাংলাদেশিসহ ১৯,৩৬১ অবৈধ আটক

মুক্তি পেলেন মালয়েশিয়ায় আটক বিএনপি নেতা কাইয়ুম

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ১০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 368

বৃহস্পতিবার পুত্রজায়ার অভিবাসন আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তার স্ত্রী শাহামিন আরা বেগম, মেয়ে অর্ণিতা তাসনিম আনকাউর এবং আইনজীবী এডমন্ড বন এর সঙ্গে এমএ কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত।

 

অবশেষে মুক্তি পেলেন মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ কর্তৃক আটক বিএনপি নেতা এমএ কাইয়ুম। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এম এ কাইয়ুম (৬১) পুত্রজায়ার অভিবাসন আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তার স্ত্রী শাহামিন আরা বেগম, মেয়ে অর্ণিতা তাসনিম আনকাউর এবং আইনজীবী এডমন্ড বন।

 

কাইয়ুমের মুক্তিতে মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার পরিবার। মেয়ে অর্নিতা জানান, আমার বাবা আমাদের বলেছিলেন, ১২ জানুয়ারি গ্রেপ্তারের দিন থেকে তার সাথে খুব ভাল আচরণ করেছেন।

 

৩১ জানুয়ারি, কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট অভিবাসন বিভাগকে ১৮ জানুয়ারি আদালতের একটি আদেশ মেনে চলতে বাধ্য করে।  যাতে তার ৫ এপ্রিল হ্যাবিয়াস কর্পাস আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার নির্বাসন স্থগিত করা হয়।

 

গত ২৪ জানুয়ারি কাইয়ুমের পরিবার অভিবাসন বিভাগ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতাকে নির্বাসনের চিঠি পাওয়ার পর তার আইনজীবীরা এই আদেশের জন্য আদালতে যান। কাইয়ুমকে দেশে ফেরত পাঠানো হলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়ে তার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল পরিবার।

 

কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের ৩১ জানুয়ারির সিদ্ধান্তের পর কাইয়ুমের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেন, অভিবাসন বিভাগ আদালতের আদেশ মেনে চলবে।

 

৩১ জানুয়ারি পুত্রজাায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি তার (কাইয়ুমের) আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং বলেছি, অভিবাসন বিভাগ বিচারিক প্রক্রিয়া মেনে চলবে। আদালত যতক্ষণ পর্যন্ত তার অবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেয় (৫ এপ্রিল), অভিবাসন বিভাগ তাকে নির্বাসন দেবে না।

 

২০১৩ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় এমএ কাইয়ুম ‘সেকেন্ড হোম’ হিসেবে অবস্থান করছেন। এর পাশাপাশি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তালিকাভুক্ত শরণার্থী হিসেবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।

শেয়ার করুন

মুক্তি পেলেন মালয়েশিয়ায় আটক বিএনপি নেতা কাইয়ুম

আপডেটের সময় : ১০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

অবশেষে মুক্তি পেলেন মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ কর্তৃক আটক বিএনপি নেতা এমএ কাইয়ুম। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এম এ কাইয়ুম (৬১) পুত্রজায়ার অভিবাসন আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তার স্ত্রী শাহামিন আরা বেগম, মেয়ে অর্ণিতা তাসনিম আনকাউর এবং আইনজীবী এডমন্ড বন।

 

কাইয়ুমের মুক্তিতে মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার পরিবার। মেয়ে অর্নিতা জানান, আমার বাবা আমাদের বলেছিলেন, ১২ জানুয়ারি গ্রেপ্তারের দিন থেকে তার সাথে খুব ভাল আচরণ করেছেন।

 

৩১ জানুয়ারি, কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট অভিবাসন বিভাগকে ১৮ জানুয়ারি আদালতের একটি আদেশ মেনে চলতে বাধ্য করে।  যাতে তার ৫ এপ্রিল হ্যাবিয়াস কর্পাস আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার নির্বাসন স্থগিত করা হয়।

 

গত ২৪ জানুয়ারি কাইয়ুমের পরিবার অভিবাসন বিভাগ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতাকে নির্বাসনের চিঠি পাওয়ার পর তার আইনজীবীরা এই আদেশের জন্য আদালতে যান। কাইয়ুমকে দেশে ফেরত পাঠানো হলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়ে তার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল পরিবার।

 

কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের ৩১ জানুয়ারির সিদ্ধান্তের পর কাইয়ুমের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেন, অভিবাসন বিভাগ আদালতের আদেশ মেনে চলবে।

 

৩১ জানুয়ারি পুত্রজাায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি তার (কাইয়ুমের) আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং বলেছি, অভিবাসন বিভাগ বিচারিক প্রক্রিয়া মেনে চলবে। আদালত যতক্ষণ পর্যন্ত তার অবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেয় (৫ এপ্রিল), অভিবাসন বিভাগ তাকে নির্বাসন দেবে না।

 

২০১৩ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় এমএ কাইয়ুম ‘সেকেন্ড হোম’ হিসেবে অবস্থান করছেন। এর পাশাপাশি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তালিকাভুক্ত শরণার্থী হিসেবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।