ঢাকা , রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতিতে যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ৬০২ অবৈধ অভিবাসী প্রথম ধাপে ১৮ হাজার কর্মী নেয়ার আশ্বাস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন ড. ইউনূস সিঙ্গাপুর থেকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া প্রবেশ, আটক ২১ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় সড়কে প্রাণ গেল বাংলাদেশির ৬ লাখ টাকাতেও মালয়েশিয়ায় পাঠাতে পারেননি, এখন সব পক্ষের টালবাহানা ! সেপ্টেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৪০ কোটি ডলার লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসে কনস্যুলার সেবা বন্ধ দিল্লি, নিউইয়র্কসহ ৫ মিশনের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কূটনীতি সম্পর্ক জোরদারে তৎপর হাইকমিশন

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 232

 

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃশ্যমান অর্থনৈতিক শক্তি মালয়েশিয়ার সাথে রয়েছে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের গভীর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে মালয়েশিয়া প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ২০২২ সালে পালিত হয়েছে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী।

 

গত কয়েক দশক ধরে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বড় শ্রমবাজার হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে এবং বর্তমানে ১২ লক্ষাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত রয়েছেন। শ্রমবাজারে দৃশ্যমান ও সক্রিয় উপস্থিতির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ জোরদারে মালয়েশিয়ার সরকার ও বেসরকারি সেক্টরের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

 

এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার বিদ্যমান অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি করার জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, মালয়েশিয়া (এনসিসিআইএম) এর প্রেসিডেন্ট তান শ্রী দাতো সোহ থিয়ান লাই এর সাথে তার কার্যালয় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে পারস্পরিক বাণিজ্য প্রসার ও বিনিয়োগ সুবিধার ক্ষেত্রে অধিকতর সহযোগিতা, দক্ষতা ভাগাভাগি এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা সহ অভিন্ন স্বার্থের বিষয়গুলি প্রাধান্য পায়। এছাড়া দু’দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও শীর্ষ ব্যবসায়িক চেম্বারসমূহের সমন্বয়ে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠন বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, এনসিসিআইএম এর সদস্য চাইনিজ চেম্বার, ইন্ডিয়ান চেম্বার ও আন্তর্জাতিক চেম্বারের ঊর্ধ্বতন ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ ও প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রেহানা পারভীন।

 

এর আগে, রাবার উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি সহ পাম অয়েল সেক্টরে দক্ষতা ভাগাভাগি এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার বিষয় নিয়ে, মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন অ্যান্ড কমোডিটিজ মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল দাতো হাজি মাদ জাইদি মোহম্মদ কারলির সাথে তার কার্যালয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান।

 

 

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান জানান, বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাথে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশে ৮ম শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশ এবং বিনিয়োগের পরিমাণ ৮৩২.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (সেপ্টেম্বর ২০২৩) এই বিষয়টি তুলে ধরে তিনি মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের অন্যান্য দেশের ন্যায় পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশের ১০০টি অর্থনৈতিক এলাকায় বিনিয়োগের জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন।

 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বাণিজ্য ক্রমবর্ধমান প্রসারিত হচ্ছে যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এখন ভারতের পর দক্ষিণ এশিয়ায় মালয়েশিয়ার জন্য বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। উল্লেখ্য যে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুইদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩.৮৬ বিলিয়ন মর্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৭১.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানি বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য আমদানীকারক উৎস দেশ হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে চীন ও ভারতের পরেই ৩য় দেশ হিসেবে মালয়েশিয়ার অবস্থান।

 

ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) স্বাক্ষরের বিষয়ে মালয়েশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং মালয়েশিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত পণ্যের কোটা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান। এছাড়াও মালয়েশিয়াসহ আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করছেন এবং এর মাধ্যমে রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে মিশন সচেষ্ট রয়েছে।

 

মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ সেলাঙ্গর, পেনাং, জহর বারু, সরাওয়াক এবং সাবাহ রাজ্য সরকারের সঙ্গে কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, লজিস্টিক, হালাল বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ নানাবিধ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ভিত্তিতে দুইদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করার ক্ষেত্র তৈরিতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মালয়েশিয়ার পেনাং এবং জোহরবারু অঞ্চলে দুইটি কনস্যুলেট জেনারেল চালুর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং উপ-মিশন দু’টি শীঘ্রই চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে যা বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

 

 

 

শেয়ার করুন

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কূটনীতি সম্পর্ক জোরদারে তৎপর হাইকমিশন

আপডেটের সময় : ০৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃশ্যমান অর্থনৈতিক শক্তি মালয়েশিয়ার সাথে রয়েছে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের গভীর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে মালয়েশিয়া প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ২০২২ সালে পালিত হয়েছে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী।

 

গত কয়েক দশক ধরে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বড় শ্রমবাজার হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে এবং বর্তমানে ১২ লক্ষাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত রয়েছেন। শ্রমবাজারে দৃশ্যমান ও সক্রিয় উপস্থিতির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ জোরদারে মালয়েশিয়ার সরকার ও বেসরকারি সেক্টরের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

 

এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার বিদ্যমান অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি করার জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, মালয়েশিয়া (এনসিসিআইএম) এর প্রেসিডেন্ট তান শ্রী দাতো সোহ থিয়ান লাই এর সাথে তার কার্যালয় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে পারস্পরিক বাণিজ্য প্রসার ও বিনিয়োগ সুবিধার ক্ষেত্রে অধিকতর সহযোগিতা, দক্ষতা ভাগাভাগি এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা সহ অভিন্ন স্বার্থের বিষয়গুলি প্রাধান্য পায়। এছাড়া দু’দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও শীর্ষ ব্যবসায়িক চেম্বারসমূহের সমন্বয়ে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠন বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, এনসিসিআইএম এর সদস্য চাইনিজ চেম্বার, ইন্ডিয়ান চেম্বার ও আন্তর্জাতিক চেম্বারের ঊর্ধ্বতন ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ ও প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রেহানা পারভীন।

 

এর আগে, রাবার উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি সহ পাম অয়েল সেক্টরে দক্ষতা ভাগাভাগি এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার বিষয় নিয়ে, মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন অ্যান্ড কমোডিটিজ মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল দাতো হাজি মাদ জাইদি মোহম্মদ কারলির সাথে তার কার্যালয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান।

 

 

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান জানান, বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাথে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশে ৮ম শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশ এবং বিনিয়োগের পরিমাণ ৮৩২.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (সেপ্টেম্বর ২০২৩) এই বিষয়টি তুলে ধরে তিনি মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের অন্যান্য দেশের ন্যায় পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশের ১০০টি অর্থনৈতিক এলাকায় বিনিয়োগের জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন।

 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বাণিজ্য ক্রমবর্ধমান প্রসারিত হচ্ছে যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এখন ভারতের পর দক্ষিণ এশিয়ায় মালয়েশিয়ার জন্য বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। উল্লেখ্য যে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুইদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩.৮৬ বিলিয়ন মর্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৭১.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানি বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য আমদানীকারক উৎস দেশ হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে চীন ও ভারতের পরেই ৩য় দেশ হিসেবে মালয়েশিয়ার অবস্থান।

 

ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) স্বাক্ষরের বিষয়ে মালয়েশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং মালয়েশিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত পণ্যের কোটা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান। এছাড়াও মালয়েশিয়াসহ আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করছেন এবং এর মাধ্যমে রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে মিশন সচেষ্ট রয়েছে।

 

মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ সেলাঙ্গর, পেনাং, জহর বারু, সরাওয়াক এবং সাবাহ রাজ্য সরকারের সঙ্গে কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, লজিস্টিক, হালাল বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ নানাবিধ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ভিত্তিতে দুইদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করার ক্ষেত্র তৈরিতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মালয়েশিয়ার পেনাং এবং জোহরবারু অঞ্চলে দুইটি কনস্যুলেট জেনারেল চালুর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং উপ-মিশন দু’টি শীঘ্রই চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে যা বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।