সঠিকভাবে কাজ না করলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
- আপডেটের সময় : ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / 647
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সঠিকভাবে কাজ করতে হবে দায়িত্বহীনতার জন্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমার যেমনি ছাড় নেই, তেমনি অন্যদেরও ছাড় নেই প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্মকর্তাদের গাড়ি ভাড়া, বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার টাকা আসে প্রবাসী কর্মীদের ঘামে অর্জিত কষ্টের টাকা থেকে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে কর্মকর্তাদের কাজ করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিকেটিটিসি) সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র (বিএমইটি) মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করলে মন্ত্রণালয় ও দেশের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া টিটিসি ও ডিইএমও অফিসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন প্রশিক্ষণ নিতে আসা লোকদের সাথে দুর্ব্যবহার না করে সদ্ব্যবহার ও স্নেহের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
শফিকুর রহমান চৌধুরী আরো বলেন,অনেকেই বলে বাংলাদেশে দক্ষ প্রবাসী কর্মীর অভাব এবং আন্তর্জাতিক মানের কর্মী নেই। তাই যে দেশ যে ধরণের কর্মী নিতে চায় সে ধরণের কর্মী তৈরী করে দিতে হবে। বিদেশে দক্ষ প্রবাসী কর্মী পাঠাতে পারলে দেশে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাবে।
বিশেষ অতিথি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন বলেন, তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ করে তুলতে সকল কর্মকর্তাদের শতভাগ দিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে যে সক্ষমতা আছে সেগুলোর মধ্যে থেকেই কিভাবে দক্ষতা উন্নয়ন করা যায় সে চিন্তা করতে হবে। যাতে সেবা দেয়ার প্রক্রিয়া আরো সহজ হয়। কর্মীদেরকে দক্ষ করে করতে পারলেই এই মন্ত্রণালয় সফল হবে। তাদেরকে দক্ষ করে তুলতে কারিকুলামের কোথায় দুর্বলতা আছে তা খুঁজে বের করে সমাধান করলে কাজ আরও সহজ হবে।
সচিব রুহুল আমিন আরো বলেন, প্রবাসী কর্মীদের ভোগান্তি কমাতে কোন সেবাটা বর্তমান সক্ষমতার মধ্যে থেকেই সহজ হবে তা চিন্তা করা দরকার। ১শ দিনের পরিকল্পনার মধ্যেই খেয়াল রাখতে হবে কোন সেবাটা সহজে দিতে পারবো সেটা খুঁজে বের করা দরকার। বিদেশে যাওয়া কর্মীরা সাধারণত গ্রাম থেকে আসে। তাদের জন্য একটি সেবাও যদি সহজে দিতে পারি তাহলে সেটাই একটি বড় অর্জন। কারণ তারাই হচ্ছে মূল অংশীদার।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। সেখানে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রীর সাথে মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিএমইটির মহাপরিচালক এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার এর প্রিন্সিপাল ইঞ্জি. মোঃ মিজানুর রহমান, বিকেটিটিসি অধ্যক্ষ প্রকৌশল মোঃ লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএমইটির বিভিন্ন জেলা পর্যায় টিটিসির প্রিন্সিপাল, ডিইএমও, জেলা জনশক্তি কর্মসংস্থান অফিস, বিএমইটি ও মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা।
বিস্তারিত প্রতিবেদন: