ঢাকা , সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিবাসী কর্মী শোষণে ক্ষুন্ন করছে মালয়েশিয়ার ভাবমূর্তি

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 377

 

অভিবাসী কর্মী শোষণে ক্ষুন্ন করছে মালয়েশিয়ার ভাবমূর্তি। মালয়েশিয়ার আইনজীবীরা বলছেন,সমস্যা অব্যাহত থাকলে বিদেশি কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী দূতাবাস মালয়েশিয়ায় নিজ দেশ থেকে কর্মী পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।

 

২৯ জানুয়ারি (সোমবার) দ্যা সান ডেইলি পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের অভিযোগ পুরনো যা ২০২০ এবং ২০২২ এর মধ্যে গুরুতরভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। বিশেষ করে রাবার গ্লাভস এবং পাম অয়েল সেক্টরের বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে মালয়েশিয়ার পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে , যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের বাজারে বিক্রি করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। আইনজীবীরা জোরপূর্বক শ্রমের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে সরকারকে সতর্ক করেছে। অভিবাসী কর্মী শোষণ অব্যাহত থাকলে এ ধরনের কর্মকান্ড মালয়েশিয়ার জন্য উচ্চ ঝুঁকি তৈরি করবে। এ রকম ঘটতে থাকলে বিদেশি কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী দূতাবাস সত্যায়ন বা প্রত্যয়ন বন্ধ করে নিজ দেশে রিপোর্ট দিতে পারে।

 

দেশটির ফৌজদারি ও বেসামরিক আইনজীবী সেলিম বশির বলেন, শোষণমূলক চর্চা ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাপকভাবে অব্যাহত ছিল, যা গত ২০ ডিসেম্বরের ঘটনা দ্বারা প্রমাণিত হয়, যখন ১৭১ জন বাংলাদেশি কর্মী পুলিশ রিপোর্ট করে দাবি করে, রিক্রুটিং এজেন্টরা তাদের আসার তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় তাদের নিয়োগকর্তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে অবশিষ্ট কোটা প্রত্যাহার করা হয়েছে। যা দেশটির শ্রমবাজারের বাজে চিত্র ফুটে উঠেছে।

 

সেলিম বশির বলেন, এ ধরনের সমস্যাগুলি মোকাবেলা করতে এবং কর্মীদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রয়োজন।”

 

তিনি আরও বলেন, দেখা গেছে বাংলাদেশি কর্মীরা দীর্ঘ কাজের সময়, অপর্যাপ্ত বিশ্রাম, নিম্নমানের জীবনযাত্রা, নিম্ন মজুরি, জোরপূর্বক শ্রম এবং পাসপোর্ট বাজেয়াপ্তসহ বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে। কর্মীদের ভালো কাজের সুযোগ এবং ভালো বেতনের প্রতিশ্রুতি অথবা তৃতীয় পক্ষের ( দালাল) দ্বারা এরকম মিথ্যা আশ্বাসের শিকার হয়।

 

সেলিম বলেন, “অভিবাসী কর্মীদের শোষণ কমানোর জন্য সরকারী প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আইন প্রণয়নের ক্রমাগত ফাঁক, প্রয়োগের ত্রুটি এবং অন্যান্য বাধা আইন প্রয়োগ করার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে।” তিনি বলেন, নিয়োগকর্তা এবং নিয়োগকারী এজেন্টদের উপর আরো কঠোর শাস্তি আরোপ করা উচিত। বিশেষ করে যারা কর্মীদের পাসপোর্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আটকে রাখে।

 

এছাড়া অভিবাসী কর্মীদের কর্মক্ষেত্র নিয়মিত পরিদর্শনকে অগ্রাধিকার দেওয়া, কঠোর নিয়ম এবং নিয়োগ নীতি কার্যকর করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন এ আইনজীবী। অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে আইনি সচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য, কারণ এটি নিশ্চিত করতে হবে যে তারা মালয়েশিয়ার আইনের মধ্যে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন আছে।

 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া জাওয়ার আগে কর্মীদের গন্তব্য দেশের আইন কানুন রীতি নীতি সম্পর্কে সরকারিভাবে ব্রিফিং দেওয়া হয়। তবে বিমানে উঠার সময় এ ধরনের ব্রিফিং কর্মীকে প্রকৃত সমৃদ্ধ করে না বলেই বাস্তবে দেখ যায়। অনেক কর্মী তার রিক্রুটিং এজেন্টের নাম, নিয়োগকারী কোম্পানির নাম এবং নিয়োগ চুক্তিতে কি লেখা, কোন সেক্টরের কাজ, বেতন সম্পর্কে বলতে পারে না। এমন কি দেখা গেছে নতুন কর্মী কাজ ও বেতন সম্পর্কে এমন তথ্য দেয় যা তার নিয়োগ চুক্তির সাথে মিলে না। অর্থাৎ এরা প্রতারণার মধ্যে বিদেশ যাত্রা শুরু করে! ভুল ধারণা দিয়ে অধিক অর্থ খরচ ও খারাপ অবস্থায় পড়া এরকম আরো পুরোনো অভিযোগ রয়েছে।

 

কর্পোরেট এবং বাণিজ্যিক আইনে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী দাতুক শঙ্করা নারায়ণন নায়ার, অভিবাসী কর্মীদের শোষণ ও দুর্ব্যবহার মোকাবেলা করার জন্য বলেছেন, আইনি পেশাদাররা এনজিও, নাগরিক সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্মীদেরকে সহযোগিতা করতে পারে। তিনি বলেন, “তাদের এমন সেক্টরে ফোকাস করতে হবে যেখানে শোষণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে, যেমন উৎপাদন, নির্মাণ এবং পরিষেবা শিল্প।” শঙ্করা বলেন, বার কাউন্সিলকে অভিবাসী কর্মীদের শোষণের বিষয়টি দেখার জন্য সক্রিয়ভাবে উপ-কমিটি গঠন করা উচিত।

 

দাতুক শঙ্করা নারায়ণন বলেন, উপ-কমিটি অভিবাসী কর্মীদের বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ দিতে পারে এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে পারে। “লক্ষ্যযুক্ত সহযোগিতা এবং সেক্টর অনুযায়ী নির্দিষ্ট উদ্যোগের মাধ্যমে আইন পেশাজীবীরা শোষণের মূল কারণকে মোকাবেলা করতে এবং অভিবাসী কর্মীদের জন্য ব্যাপক সুরক্ষা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দেখা গেছে অভিবাসী কর্মীরা নিয়োগকর্তা, এজেন্ট বা দালালের শোষণের মধ্যে আতঙ্কিত অবস্থায় থাকে প্রকৃত সমস্যার কথা বলে না এবং বলার পরে অনেক কর্মীর চাকরি গেছে, দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

 

শঙ্করা বলেছেন, অভিবাসী কর্মীদের যেখানে সেখানে থামিয়ে ডকুমেন্ট পরীক্ষা করার চলমান পদ্ধতি কর্মী ব্যবস্থাপনার অদক্ষতা এবং ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ নীতি থেকে উদ্ভূত হয়েছে। তিনি আরো বলেন যে নীতি সংশোধনের মাধ্যমে অন্তর্নিহিত কারণগুলিকে মোকাবেলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে কাজ করেন এটিএন বাংলার কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স ও ভালো সংবাদের সম্পাদক জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব বলেন, মালয়েশিয়ার আইনজীবী সমাজ শ্রম শোষণ এবং অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সরকারকে সচেতন হতে পরামর্শ দিয়েছে এবং দেশের সুনামের স্বার্থে নিজেরা উদ্যোগ নিয়েছে এটা মানবতার জন্য খুব ভালো উদ্যোগ। একইসাথে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর পূর্বে নিয়োগকর্তার সক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। অভিবাসী কর্মীকে নিয়োগ চুক্তি সম্পর্কে আগেই জানিয়ে পরে স্বাক্ষর নিয়ে পাঠানো গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে দেশ ত্যাগের আগেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এবং কর্মীরা বিদেশে বাজে অবস্থায় পরবে না। জি টু জি প্লাসের কর্মীদের নিয়ে কাজ না পাবার বিষয় শোনা যায়নি। তার মানে সে সময় বাংলাদেশ নিশ্চিত হয়েই কর্মী পাঠিয়েছিল।

শেয়ার করুন

অভিবাসী কর্মী শোষণে ক্ষুন্ন করছে মালয়েশিয়ার ভাবমূর্তি

আপডেটের সময় : ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

 

অভিবাসী কর্মী শোষণে ক্ষুন্ন করছে মালয়েশিয়ার ভাবমূর্তি। মালয়েশিয়ার আইনজীবীরা বলছেন,সমস্যা অব্যাহত থাকলে বিদেশি কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী দূতাবাস মালয়েশিয়ায় নিজ দেশ থেকে কর্মী পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।

 

২৯ জানুয়ারি (সোমবার) দ্যা সান ডেইলি পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের অভিযোগ পুরনো যা ২০২০ এবং ২০২২ এর মধ্যে গুরুতরভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। বিশেষ করে রাবার গ্লাভস এবং পাম অয়েল সেক্টরের বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে মালয়েশিয়ার পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে , যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের বাজারে বিক্রি করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। আইনজীবীরা জোরপূর্বক শ্রমের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে সরকারকে সতর্ক করেছে। অভিবাসী কর্মী শোষণ অব্যাহত থাকলে এ ধরনের কর্মকান্ড মালয়েশিয়ার জন্য উচ্চ ঝুঁকি তৈরি করবে। এ রকম ঘটতে থাকলে বিদেশি কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী দূতাবাস সত্যায়ন বা প্রত্যয়ন বন্ধ করে নিজ দেশে রিপোর্ট দিতে পারে।

 

দেশটির ফৌজদারি ও বেসামরিক আইনজীবী সেলিম বশির বলেন, শোষণমূলক চর্চা ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাপকভাবে অব্যাহত ছিল, যা গত ২০ ডিসেম্বরের ঘটনা দ্বারা প্রমাণিত হয়, যখন ১৭১ জন বাংলাদেশি কর্মী পুলিশ রিপোর্ট করে দাবি করে, রিক্রুটিং এজেন্টরা তাদের আসার তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় তাদের নিয়োগকর্তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে অবশিষ্ট কোটা প্রত্যাহার করা হয়েছে। যা দেশটির শ্রমবাজারের বাজে চিত্র ফুটে উঠেছে।

 

সেলিম বশির বলেন, এ ধরনের সমস্যাগুলি মোকাবেলা করতে এবং কর্মীদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রয়োজন।”

 

তিনি আরও বলেন, দেখা গেছে বাংলাদেশি কর্মীরা দীর্ঘ কাজের সময়, অপর্যাপ্ত বিশ্রাম, নিম্নমানের জীবনযাত্রা, নিম্ন মজুরি, জোরপূর্বক শ্রম এবং পাসপোর্ট বাজেয়াপ্তসহ বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে। কর্মীদের ভালো কাজের সুযোগ এবং ভালো বেতনের প্রতিশ্রুতি অথবা তৃতীয় পক্ষের ( দালাল) দ্বারা এরকম মিথ্যা আশ্বাসের শিকার হয়।

 

সেলিম বলেন, “অভিবাসী কর্মীদের শোষণ কমানোর জন্য সরকারী প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আইন প্রণয়নের ক্রমাগত ফাঁক, প্রয়োগের ত্রুটি এবং অন্যান্য বাধা আইন প্রয়োগ করার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে।” তিনি বলেন, নিয়োগকর্তা এবং নিয়োগকারী এজেন্টদের উপর আরো কঠোর শাস্তি আরোপ করা উচিত। বিশেষ করে যারা কর্মীদের পাসপোর্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আটকে রাখে।

 

এছাড়া অভিবাসী কর্মীদের কর্মক্ষেত্র নিয়মিত পরিদর্শনকে অগ্রাধিকার দেওয়া, কঠোর নিয়ম এবং নিয়োগ নীতি কার্যকর করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন এ আইনজীবী। অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে আইনি সচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য, কারণ এটি নিশ্চিত করতে হবে যে তারা মালয়েশিয়ার আইনের মধ্যে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন আছে।

 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া জাওয়ার আগে কর্মীদের গন্তব্য দেশের আইন কানুন রীতি নীতি সম্পর্কে সরকারিভাবে ব্রিফিং দেওয়া হয়। তবে বিমানে উঠার সময় এ ধরনের ব্রিফিং কর্মীকে প্রকৃত সমৃদ্ধ করে না বলেই বাস্তবে দেখ যায়। অনেক কর্মী তার রিক্রুটিং এজেন্টের নাম, নিয়োগকারী কোম্পানির নাম এবং নিয়োগ চুক্তিতে কি লেখা, কোন সেক্টরের কাজ, বেতন সম্পর্কে বলতে পারে না। এমন কি দেখা গেছে নতুন কর্মী কাজ ও বেতন সম্পর্কে এমন তথ্য দেয় যা তার নিয়োগ চুক্তির সাথে মিলে না। অর্থাৎ এরা প্রতারণার মধ্যে বিদেশ যাত্রা শুরু করে! ভুল ধারণা দিয়ে অধিক অর্থ খরচ ও খারাপ অবস্থায় পড়া এরকম আরো পুরোনো অভিযোগ রয়েছে।

 

কর্পোরেট এবং বাণিজ্যিক আইনে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী দাতুক শঙ্করা নারায়ণন নায়ার, অভিবাসী কর্মীদের শোষণ ও দুর্ব্যবহার মোকাবেলা করার জন্য বলেছেন, আইনি পেশাদাররা এনজিও, নাগরিক সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্মীদেরকে সহযোগিতা করতে পারে। তিনি বলেন, “তাদের এমন সেক্টরে ফোকাস করতে হবে যেখানে শোষণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে, যেমন উৎপাদন, নির্মাণ এবং পরিষেবা শিল্প।” শঙ্করা বলেন, বার কাউন্সিলকে অভিবাসী কর্মীদের শোষণের বিষয়টি দেখার জন্য সক্রিয়ভাবে উপ-কমিটি গঠন করা উচিত।

 

দাতুক শঙ্করা নারায়ণন বলেন, উপ-কমিটি অভিবাসী কর্মীদের বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ দিতে পারে এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে পারে। “লক্ষ্যযুক্ত সহযোগিতা এবং সেক্টর অনুযায়ী নির্দিষ্ট উদ্যোগের মাধ্যমে আইন পেশাজীবীরা শোষণের মূল কারণকে মোকাবেলা করতে এবং অভিবাসী কর্মীদের জন্য ব্যাপক সুরক্ষা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দেখা গেছে অভিবাসী কর্মীরা নিয়োগকর্তা, এজেন্ট বা দালালের শোষণের মধ্যে আতঙ্কিত অবস্থায় থাকে প্রকৃত সমস্যার কথা বলে না এবং বলার পরে অনেক কর্মীর চাকরি গেছে, দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

 

শঙ্করা বলেছেন, অভিবাসী কর্মীদের যেখানে সেখানে থামিয়ে ডকুমেন্ট পরীক্ষা করার চলমান পদ্ধতি কর্মী ব্যবস্থাপনার অদক্ষতা এবং ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ নীতি থেকে উদ্ভূত হয়েছে। তিনি আরো বলেন যে নীতি সংশোধনের মাধ্যমে অন্তর্নিহিত কারণগুলিকে মোকাবেলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে কাজ করেন এটিএন বাংলার কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স ও ভালো সংবাদের সম্পাদক জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব বলেন, মালয়েশিয়ার আইনজীবী সমাজ শ্রম শোষণ এবং অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সরকারকে সচেতন হতে পরামর্শ দিয়েছে এবং দেশের সুনামের স্বার্থে নিজেরা উদ্যোগ নিয়েছে এটা মানবতার জন্য খুব ভালো উদ্যোগ। একইসাথে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর পূর্বে নিয়োগকর্তার সক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। অভিবাসী কর্মীকে নিয়োগ চুক্তি সম্পর্কে আগেই জানিয়ে পরে স্বাক্ষর নিয়ে পাঠানো গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে দেশ ত্যাগের আগেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এবং কর্মীরা বিদেশে বাজে অবস্থায় পরবে না। জি টু জি প্লাসের কর্মীদের নিয়ে কাজ না পাবার বিষয় শোনা যায়নি। তার মানে সে সময় বাংলাদেশ নিশ্চিত হয়েই কর্মী পাঠিয়েছিল।