রেমিট্যান্স বাড়াতে দক্ষকর্মী পাঠানোয় গুরুত্ব দিতে হবে: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
- আপডেটের সময় : ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
- / 314
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, প্রবাসীরা সব সময় বন্ধু হিসেবে দেশের পাশে থেকেছেন। দেশের সিংহভাগ বৈদেশিক আয় অর্জিত হয় প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ থেকে। প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো অর্থের উপর প্রণোদনা ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়ানোর বিষয়ে সরকার আন্তরিক।
রবিবার ( (২১ জানুয়ারি, ২০২৪) ঢাকার তেজগাঁও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)-তে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৩ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে পুরস্কার প্রদান ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, এমপি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড -বোয়েসেল- এর সহযোগিতায় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের যাতায়াতে বিমানবন্দরে সদাচরণ ও নিরাপত্তা প্রদানসহ তাদের মর্যাদা সমুন্নত রাখা উচিৎ। প্রবাসী আয় বৃদ্ধির লক্ষে ̈ কোন দেশে কি ধরণের কর্মী দরকার সে অনুযায়ী দক্ষ কর্মী প্রেরণের উপর জোর দিতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যামে কর্মী প্রেরণ করে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে রিক্রুটিং এজেন্সিগুেলার সাথে শিগগিরই আলোচনায় বসার কথা জানান তিনি
ছায়া সংসদ বিতর্কের সভাপতি ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, প্রবাসী কর্মীদের সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদানে সরকারী উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে আরো কর্মীবান্ধব হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশের কর্মক্ষম ২৫ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হয় অভিবাসনের মাধ ̈মে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান না হলে বাংলাদেশে দরিদধ লোকের সংখ্যা ১০ শতাংশ বেড়ে যেতো। অভিবাসী শ্রমিকদের পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্টধকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। আমরা এখনো পর্যন্ত অভিবাসী কর্মীদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে পারিনি। অভিযোগ রয়েছে বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাস গুলো থেকে তারা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না। অথচ আমাদের অভিবাসী কর্মীরা তাদের শ্রমে ঘামে অর্জিত অর্থ দেশে প্রেরণ করে আমাদের অর্থনীতিকে শ৩িশালী করছে। তাদের সামাজিক মর্যাদা প্রদানে সরকারকে আরো বেশি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করা উচিৎ।
বর্তমানে প্রদত্ত রেমিটেন্সের উপর প্রণোদনা ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা জরুরী। যারা ̄^ল্প আয়ের অভিবাসী কর্মী তাদের জন ̈ রেমিটেন্সের উপর প্রণোদনা ১০ শতাংশ করা যেতে পারে। আশাকরি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত নতুন প্রতিমন্ত্রী সংসদের প্রথম অধিবেশনে
রেমিট্যান্সের উপর প্রণোদনা বৃদ্ধির প্রস্তাবটি উত্থাপন করবেন। একই সাথে মাননীয় মন্ত্রী অভিবাসী কর্মীদের জন ̈ সরকারি কর্মকর্তা, শিল্পীসহ
বিশিষ্ট ব ̈৩িদের মতো অভিবাসী কর্মীদের জন্য জমি, প্লট, ফ্লাট বরাদ্দের উদ্যোগ নেবেন। ফিরে আসা অভিবাসী কর্মীদের সামাজিক
সুরক্ষা, রি-ইন্টিগ্রেশন পলিসি গঠনে ভূমিকা রাখবেন। বিদেশে গমনকালীন এবং দেশে আসার সময় অভিবাসী কর্মীরা যাতে
বিমানবন্দরে হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, বোয়েসেল ও মন্ত্রণালয় সবসময় কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কম খরচে কর্মী পাঠাতে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শুভময় দত্ত, সিমস প্রজেক্ট, হেলভেটাস বাংলাদেশ এর প্রকল্প পরিচালক মো: আবুল বাসার ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পরিচালক অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দল এবং শ্রেষ্ঠবক্তাকে ট্রফি ও সনদপত্রসহ প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয় এই অনুষ্ঠানে।