ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
‘মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম থাকবে না’ মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের শিকার কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় আসিফ নজরুল ইতালিতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে :ড. আসিফ নজরুল মালয়েশিয়াজুড়ে টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন, বাংলাদেশিসহ ১২৭০ অভিবাসী আটক মালয়েশিয়ার কোটা ভারুতে ১১৪ বাংলাদেশি আটক বিভিন্ন দেশের ৪৮,৩১৯ বন্দীকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া মহান মে দিবসে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক কার্ড চালুর ঘোষণা কর্মীদের প্রতি মালয়েশিয়ান মালিকের অফুরান ভালোবাসা ‘ইশরাক হোসেন ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে এনসিপি আদালত অবমাননা করেছে’ মালয়েশিয়ায় জাল পারমিট বিক্রির মূল হোতা বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় বিশেষ অভিযানে ২০৫ বাংলাদেশিসহ ৫৬১ জন আটক

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 321

 

মালয়েশিয়ায় বিশেষ অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৫৬১ জন অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। আটকরা বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভারত, কম্বোডিয়া, সিয়েরা লিয়ন এবং কামেরুনের নাগরিক, যাদের বয়স তিন মাস থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। আটকদের মধ্যে ২০৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। ১৯ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার বানডার তাসিক পাংচাপুরি বাইদুরি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই অভিবাসীদের আটক করা হয়।

 

শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টায় শুরু হওয়া এই অভিযানটি ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতো’ রুসলিন বিন জুসোহের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে  জনসাধারণের অভিযোগের পর,মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ৭৫২ জন ব্যক্তির কাগজ পত্রাদি পরীক্ষা করে।

 

অভিযানের সদস্যদের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল কিছু অভিবাসী। যেখানে প্রায় ৮০ শতাংশ বিদেশি নাগরিক বাস করে। থাকার জায়গাটিও বেশ ঘনবসতিপূর্ণ এবং নোংরা ছিল।

 

ইমিগ্রেশনের বিভিন্ন পদমর্যাদার ৪৫৫ জন কর্মকর্তা এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে, যাদের সহায়তা করেছিলেন জেনারেল মুভমেন্ট ফোর্স (PGA) এর ৬০ জন কর্মকর্তা, জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ (JPN) এর ১২ জন কর্মকর্তা এবং মালয়েশিয়ার সিভিল ডিফেন্স ফোর্স (APM) এর পাঁচজন সদস্য।

 

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক (অপারেশন) তুয়ান জাফ্রি বিন এমবক তাহা; ইমিগ্রেশন উপ-পরিচালক (নিয়ন্ত্রণ) দাতু কেন আনাক লেবেন; প্রয়োগ বিভাগের পরিচালক তুয়ান মোহাম্মদ জাসমি বিন মোহাম্মদ জুয়াহির; সেল্যাঙ্গর রাজ্য ইমিগ্রেশন পরিচালক তুয়ান খায়রুল আমিনুস বিন কামারুদ্দিন; এবং কুয়ালালামপুর ফেডারেল টেরিটরি ইমিগ্রেশন রাজ্য পরিচালক তুয়ান ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি বিন ওয়ান ইউসুফ।

 

আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগগুলো হলো, কোনো পরিচয়পত্র না থাকা, অতিরিক্ত সময় অবস্থান করা এবং ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ লঙ্ঘন করা। পরবর্তী তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় বিশেষ অভিযানে ২০৫ বাংলাদেশিসহ ৫৬১ জন আটক

আপডেটের সময় : ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪

 

মালয়েশিয়ায় বিশেষ অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৫৬১ জন অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। আটকরা বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভারত, কম্বোডিয়া, সিয়েরা লিয়ন এবং কামেরুনের নাগরিক, যাদের বয়স তিন মাস থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। আটকদের মধ্যে ২০৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। ১৯ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার বানডার তাসিক পাংচাপুরি বাইদুরি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই অভিবাসীদের আটক করা হয়।

 

শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টায় শুরু হওয়া এই অভিযানটি ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতো’ রুসলিন বিন জুসোহের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে  জনসাধারণের অভিযোগের পর,মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ৭৫২ জন ব্যক্তির কাগজ পত্রাদি পরীক্ষা করে।

 

অভিযানের সদস্যদের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল কিছু অভিবাসী। যেখানে প্রায় ৮০ শতাংশ বিদেশি নাগরিক বাস করে। থাকার জায়গাটিও বেশ ঘনবসতিপূর্ণ এবং নোংরা ছিল।

 

ইমিগ্রেশনের বিভিন্ন পদমর্যাদার ৪৫৫ জন কর্মকর্তা এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে, যাদের সহায়তা করেছিলেন জেনারেল মুভমেন্ট ফোর্স (PGA) এর ৬০ জন কর্মকর্তা, জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ (JPN) এর ১২ জন কর্মকর্তা এবং মালয়েশিয়ার সিভিল ডিফেন্স ফোর্স (APM) এর পাঁচজন সদস্য।

 

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক (অপারেশন) তুয়ান জাফ্রি বিন এমবক তাহা; ইমিগ্রেশন উপ-পরিচালক (নিয়ন্ত্রণ) দাতু কেন আনাক লেবেন; প্রয়োগ বিভাগের পরিচালক তুয়ান মোহাম্মদ জাসমি বিন মোহাম্মদ জুয়াহির; সেল্যাঙ্গর রাজ্য ইমিগ্রেশন পরিচালক তুয়ান খায়রুল আমিনুস বিন কামারুদ্দিন; এবং কুয়ালালামপুর ফেডারেল টেরিটরি ইমিগ্রেশন রাজ্য পরিচালক তুয়ান ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি বিন ওয়ান ইউসুফ।

 

আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগগুলো হলো, কোনো পরিচয়পত্র না থাকা, অতিরিক্ত সময় অবস্থান করা এবং ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ লঙ্ঘন করা। পরবর্তী তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।