জরুরি কোনো কাজে কিংবা ঘুরতে দেশের বাইরে যাবেন, অথচ পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ কিংবা বাকি আছে আর মাত্র কিছুদিন। সেক্ষেত্রে ভিসা ও বিদেশ ভ্রমণের সুবিধার্থে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ছয় মাস পূর্বে নতুন পাসপোর্ট করুন।
এছাড়াও, পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে এলে বিদেশ ভ্রমণের সময় বিমানবন্দরে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে, বিমানবন্দরে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষের দিকে থাকার কারণে বিমানে উঠতে দেওয়া হয় না। তাই, বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ছয় মাস আগে নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করা উচিত। এতে, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত হবে এবং বিদেশ ভ্রমণে এ জাতীয় কোনো সমস্যায় পরতে হবে না।
এদিকে বাংলাদেশি যেসব কর্মীর পাসপোর্টের মেয়াদ ছয় মাসের কম, তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট রিনিউ বা নতুন পাসপোর্ট পেতে আবেদন করার জন্য গেল কয়েক বছর থেকে বরাবরই অনুরোধ জানিয়ে আসছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে বাংলাদেশের সব জেলা পাসপোর্ট অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে। তাই এমআরপি পাসপোর্ট নবায়ন করে আপনাকে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন অনলাইনে বা সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অনলাইনে নিজেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট রিনিউ করার ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।
পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করতে যা যা প্রয়োজন:
আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি, শনাক্তকরণ ডকুমেন্টের প্রিন্ট কপি (জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ), ব্যাংক সার্টিফাইড চেক, পুরানো পাসপোর্ট ও ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি, সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে জিও বা এনওসি এবং রেজিস্ট্রেশন ফরম বা আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি।
২০২৩ সালের তথ্য অনুসারে, পাসপোর্ট রিনিউয়ের ফি নতুন পাসপোর্টের ফি’র মতোই। এক্ষেত্রে ৫ বছরমেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা। আর ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। অন্যদিকে ১০ বছরমেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা ও ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা।
বাংলাদেশের পাসপোর্টের মেয়াদ সাধারণত পাঁচ ও দশ বছর হয়ে থাকে । তবে, ১৮ বছরের কম বয়সীদের পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছর।