শারীরিক ও মানসিক অসুস্থ হয়ে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত আসা সেই হারুন অর রশিদ খোঁজ পেয়েছেন পরিবারের। স্বজনের খোঁজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্র্যাকের এক পোস্টের মাধ্যমে মিলেছে তার পরিবারের সন্ধান।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম হতে হারুন অর রশিদকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি প্রবাস বার্তাকে নিশ্চত করেছেন, ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্ট্রারের ম্যানেজার আল আমিন নয়ন।
মুঠোফোনে তিনি জানান, “শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ সৌদি ফেরত প্রবাসী হারুন অর রশিদ যখন বিমান বন্দরে নেমে নিজের পরিবারের কথা বলতে পারছিলেন না তখন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) আমাদের খবর দেন। খবর পেয়ে আমাদের টিম গিয়ে তাকে ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে নিয়ে আসে। এখানে আমরা তার থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করি। এরপর আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালাই তার পরিবারের সন্ধানে।”
ব্র্যাকের এই কর্মকর্তা আরো জানান, হারুন অর রশিদকে নিয়ে ব্র্যাকের পোস্ট দেখে সন্ধ্যার দিকে আমাদের কাছে একজনের ফোন আসে। যিনি হারুনের চাচাতো ভাই বলে পরিচয় দেন। এরপর তিনি ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে আসলে আমরা পরিচয় সনাক্ত করে হারুন অর রশিদকে তার ভাইয়ে কাছে হস্তান্তর করি।” এজন্য তিনি বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এর আগে সৌদি আরব থেকে শারীরিক ও মানসিক অসুস্থ অবস্থায় বুধবার দিবাগত রাত ১২ টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন গাইবান্ধা জেলার মো: হারুন অর রশিদ।
দেশে ফিরলে বিমানবন্দরে হারুনের চলাফেরা ও কথাবার্তা শুনে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) তাঁদের অফিসে নিয়ে যায়। পরে নিরাপদ আবাসন ও তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য রাতেই ফোন করা হয় ব্র্যাকের কাছে।
পরিবারে হস্তান্তর করার আগে হারুন অর রশিদ ঢাকার আশকোনায় ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে ছিলেন। তার পাসপোর্টে দেওয়া মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়ায় পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তখন। এরপর হারুনের পরিবারের সন্ধানের জন্য সকলেকে সহযোগিতার আহবান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালায় ব্র্যাক।