হাইকমিশনের হস্তক্ষেপে ক্ষতিপূরণ পেল মালয়েশিয়ায় মাটিচাপায় নিহত ৩ বাংলাদেশি কর্মীর পরিবার । শনিবার (১১ নভেম্বর) মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হাইকমিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহত প্রবাসীরা হলেন হলেন, শরীয়তপুর জেলার পালং থানার জাহিদুল খান (২০), পাবনার ভাঙাগুড়া উপজেলার মনিরুল ইসলাম (৩১), শরীয়তপুরের জাজিরা থানার মো. সাজ্জাদ হোসাইন (২০)।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দুর্ঘটনায় কর্মীদের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তারা প্রজেক্ট: মেমরিনা জালান দানি কামপুং জ কে কামপুং বেলিমবিং, টানাহ মেরাহ, কেলাস্তান এর আওতায় কাম্পুং মাকা নামক পাহাড়ি এলাকায় সড়ক নির্মাণের কাজ করছিলেন। গত ২ নভেম্বর স্থানীয় সময় দুপর ১২টার দিকে ভূমি ধ্বসের কারণে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তাদের। পরদিন ৩ নভেম্বর হাইকমিশনারের নির্দেশনায় কাউন্সেলর (শ্রম) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মরদেহ রাখা হাসপাতাল গিয়ে বিস্তারিত তথ্য নেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ হয়েছে, বিস্তারিত তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মৃত জাহেদুল খান ও মোঃ সাজ্জাদ হোসাইন ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসেন এবং মনিরুল ইসলাম পিএইচএন ইন্ডাস্ট্রি এসডিএন. বিএইচডি নামক কোম্পানিতে ২০২৩ সালে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসলেও এপ্রিল মাসে তিনি সেই কোম্পানি থেকে না বলে চলে যান।
হাইকমিশনের পক্ষ হতে বর্তমান প্রকল্পে (যেখানে মৃত্যুবরণ করে) নিযুক্তকারী কোম্পানির মালিকের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তিরা অনিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়। তবে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। আদায় করা ক্ষতিপূরণের অর্থ গত ০৯ নভেম্বর কোম্পানির পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় এবং ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়া ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করে অর্থ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইকমিশন।
এদিকে হাইকমিশন থেকে লাশ পাঠানো কাসকেট কোম্পানি ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সাথে দ্রুততম সময়ে মরদেহ দেশে পাঠানোতে সচেষ্ট রয়েছে। মৃত্যুর কারণ সংক্রান্ত ডাক্তারি সনদ, মৃত্যু সনদ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আগামী সপ্তাহের মধ্যে মরদেহ তাদের স্বজনদের নিকট পাঠানো সম্ভব হবে বলে হাইকমিশনের বিজ্ঞ