মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় তিনশ’ কিলোমিটার দূরের কেস্তান প্রদেশে মাটি চাপায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হওয়া ৩ বাংলাদেশি কর্মীর মরদেহ দেশে পাঠানো হবে। আগামী সপ্তাহে স্বজনদের কাছে মরদেহ পাঠানো সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশি তিন নির্মাণ কর্মীর মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশ হাইকমিশন শোক প্রকাশ করে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানিয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন (১) জাহেদুল খান জেলা শরীয়তপুর, (২) মোঃ সাজ্জাদ হোসাইন জেলা- শরীয়তপুর (৩) মনিরুল ইসলাম জেলা- পাবনা।
হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্ঘটনায় কর্মীদের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তারা প্রজেক্ট: মেমরিনা জালান দানি কামপুং জ কে কামপুং বেলিমবিং, টানাহ মেরাহ, কেলাস্তান এর আওতায় কাম্পুং মাকা নামক পাহাড়ি এলাকায় সড়ক নির্মাণের কাজ করছিলেন। গত ২ নভেম্বর স্থানীয় সময় দুপর ১২টার দিকে ভূমি ধ্বসের কারণে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তাদের। পরদিন ৩ নভেম্বর হাইকমিশনারের নির্দেশনায় কাউন্সেলর (শ্রম) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মরদেহ রাখা হাসপাতাল গিয়ে বিস্তারিত তথ্য নেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ হয়েছে, বিস্তারিত তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মৃত জাহেদুল খান ও মোঃ সাজ্জাদ হোসাইন ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসেন এবং মনিরুল ইসলাম পিএইচএন ইন্ডাস্ট্রি এসডিএন. বিএইচডি নামক কোম্পানিতে ২০২৩ সালে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসলেও এপ্রিল মাসে তিনি সেই কোম্পানি থেকে না বলে চলে যান।
হাইকমিশনের পক্ষ হতে বর্তমান প্রকল্পে (যেখানে মৃত্যুবরণ করে) নিযুক্তকারী কোম্পানির মালিকের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তিরা অনিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়। আদায়কৃত ক্ষতিপূরণের অর্থ গত ০৯ নভেম্বর কোম্পানির পক্ষ হতে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর সম্ভব হয় এবং ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করে অর্থ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইকমিশন।
এছাড়া হাইকমিশন থেকে লাশ পাঠাতে কাসকেট কোম্পানি ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সাথে দ্রুততম সময়ে মৃতদেহ দেশে পাঠানোর জন্য সচেষ্ট রয়েছে। মৃত্যুর কারণ সংক্রান্ত ডাক্তারি সনদ, মৃত্যু সনদ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আগামী সপ্তাহের মধ্যে মৃতদেহ তাদের স্বজনদের নিকট পাঠানো সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। এবং এ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য বা সহযোগিতার জন্য হাইকমিশনের প্রথম সচিব(শ্রম) জনাব সুমন চন্দ্র দাশ, মোবাইল নং +৬০১২৪৩১৩১৫০ অথবা ই-মেইল ss.lab.kl@gmail.com/ sumondas4u@yahoo.com এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য হলে হয়েছে।