ঢাকা , শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখুন

Print Friendly, PDF & Email

 

বাংলাদেশ থেকে যারা কর্মী ভিসা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে যাচ্ছেন, তাদেরকে অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বিভিন্ন সময় দেখা যায়, কিছু অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে কর্মীদের আকৃষ্ট করে এবং তাদের সাথে প্রতারণা করে। আবার একই সাথে কিছু বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিও ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে কর্মীদের বিদেশে পাঠিয়ে আর কোনো খোঁজ রাখেন না।

 

বিশেষ করে সৌদি আরবে এমন অসংখ্য কর্মী কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই বিদেশ যাওয়ার আগে অবশ্যই কর্মীরা তিনটি আইনগত বিষয় যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হয়েই বিদেশ যাবেন।

 

এক. বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি।

 

আত্মীয় স্বজন কিংবা ফেসবুক, ইউটিউবসহ যে কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদেশে কর্মী পাঠানোর জন্য কোন বিজ্ঞাপন আপনার কাছে আসলে প্রথম কাজটি হচ্ছে রিক্রুটিং এজেন্সির বৈধতা যাচাই করা।এজন্য সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স নাম্বার বা আরএল আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। আর লাইসেন্স নাম্বার সঠিক কিনা তা জানতে বিএমইটি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কিংবা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বায়রার ওয়েব সাইটে গিয়ে তা যাচাই করতে হবে।

 

দুই. টিটিসিতে ট্রেনিং ও ফিঙ্গার প্রিন্ট।

 

নিজ জেলা কিংবা নিকটস্থ টিটিসি থেকে তিন দিনের একটি ট্রেনিং নিয়ে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। এরপর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস থেকে ১০ আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে বিএমইটিতে নিবন্ধিত হতে হবে।

 

তিন. বিএমইটি স্মার্ট কার্ড বা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড।

 

অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন হলে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি সকল কাগজপত্র বিএমইটিতে জমা দিবে। এরপর সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে আপনার নামে একটি স্মার্ট কার্ড ইস্যু করবে বিএমইটি। যা বিএমইটি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড নামেও পরিচিত। একইসাথে এটি আপনার জন্য একটি পরিচয়পত্র যে, আপনি বৈধ ভাবে বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে বিদেশ যাচ্ছেন।

 

তবে চুক্তি অনুযায়ী কাজ না পেলে করণীয়

 

যদি কোনো বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার পরেও চুক্তি অনুযায়ী কাজ বা বেতন না পেলে অবশ্যই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটিতে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও লিখিত অভিযোগ জানাতে পারবেন।

Tag :

বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখুন

আপডেট: ০৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
Print Friendly, PDF & Email

 

বাংলাদেশ থেকে যারা কর্মী ভিসা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে যাচ্ছেন, তাদেরকে অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বিভিন্ন সময় দেখা যায়, কিছু অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে কর্মীদের আকৃষ্ট করে এবং তাদের সাথে প্রতারণা করে। আবার একই সাথে কিছু বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিও ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে কর্মীদের বিদেশে পাঠিয়ে আর কোনো খোঁজ রাখেন না।

 

বিশেষ করে সৌদি আরবে এমন অসংখ্য কর্মী কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই বিদেশ যাওয়ার আগে অবশ্যই কর্মীরা তিনটি আইনগত বিষয় যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হয়েই বিদেশ যাবেন।

 

এক. বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি।

 

আত্মীয় স্বজন কিংবা ফেসবুক, ইউটিউবসহ যে কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদেশে কর্মী পাঠানোর জন্য কোন বিজ্ঞাপন আপনার কাছে আসলে প্রথম কাজটি হচ্ছে রিক্রুটিং এজেন্সির বৈধতা যাচাই করা।এজন্য সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স নাম্বার বা আরএল আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। আর লাইসেন্স নাম্বার সঠিক কিনা তা জানতে বিএমইটি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কিংবা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বায়রার ওয়েব সাইটে গিয়ে তা যাচাই করতে হবে।

 

দুই. টিটিসিতে ট্রেনিং ও ফিঙ্গার প্রিন্ট।

 

নিজ জেলা কিংবা নিকটস্থ টিটিসি থেকে তিন দিনের একটি ট্রেনিং নিয়ে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। এরপর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস থেকে ১০ আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে বিএমইটিতে নিবন্ধিত হতে হবে।

 

তিন. বিএমইটি স্মার্ট কার্ড বা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড।

 

অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন হলে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি সকল কাগজপত্র বিএমইটিতে জমা দিবে। এরপর সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে আপনার নামে একটি স্মার্ট কার্ড ইস্যু করবে বিএমইটি। যা বিএমইটি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড নামেও পরিচিত। একইসাথে এটি আপনার জন্য একটি পরিচয়পত্র যে, আপনি বৈধ ভাবে বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে বিদেশ যাচ্ছেন।

 

তবে চুক্তি অনুযায়ী কাজ না পেলে করণীয়

 

যদি কোনো বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার পরেও চুক্তি অনুযায়ী কাজ বা বেতন না পেলে অবশ্যই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটিতে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও লিখিত অভিযোগ জানাতে পারবেন।