ঢাকা , শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণা

  • প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 117
Print Friendly, PDF & Email

 

ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণন। দীর্ঘ ২৬ বছর কনস্যুলেট থাকার পর এবার হাইকমিশন করার কথা জানালো দেশটি।

 

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সাইড লাইনে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় উভয় মন্ত্রী দুদেশের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের পূর্ণাঙ্গ মিশন স্থাপনের জন্য দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান। এসময় সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় তাদের কনস্যুলেটকে হাইকমিশনে উন্নীত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। আর সিঙ্গাপুরের পূর্ণাঙ্গ মিশন স্থাপনের সিদ্ধান্তের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, “ঢাকায় সিঙ্গাপুরের হাইকমিশন স্থাপিত হলে উভয় দেশই উপকৃত হবে।”

 

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহবান জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগের সুযোগ নিতে পারে। এতে উভয় দেশই লাভবান হবে।” উভয় মন্ত্রী দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন।

 

প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে জাকার্তায় ৩০তম আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ও ড. বালাকৃষ্ণন। প্রায় দুই মাসের মাথায় নিউইয়র্কে দ্বিতীয় দফায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছেন মোমেন- বালাকৃষ্ণন।

 

১৯৭২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ১৯৭৩ সালে দেশটির সঙ্গে একটি বাণিজ্য কমিশন করে বাংলাদেশ। পরবর্তী সময়ে দশ বছর পর একজন আবাসিক হাইকমিশনারের নেতৃত্বে দেশটিতে ১৯৮৩ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক মিশন খোলে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ১৯৯৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় কনস্যুলেট অফিস খোলে সিঙ্গাপুর।

Tag :

ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণা

আপডেট: ০৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Print Friendly, PDF & Email

 

ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণন। দীর্ঘ ২৬ বছর কনস্যুলেট থাকার পর এবার হাইকমিশন করার কথা জানালো দেশটি।

 

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সাইড লাইনে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় উভয় মন্ত্রী দুদেশের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের পূর্ণাঙ্গ মিশন স্থাপনের জন্য দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান। এসময় সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় তাদের কনস্যুলেটকে হাইকমিশনে উন্নীত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। আর সিঙ্গাপুরের পূর্ণাঙ্গ মিশন স্থাপনের সিদ্ধান্তের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, “ঢাকায় সিঙ্গাপুরের হাইকমিশন স্থাপিত হলে উভয় দেশই উপকৃত হবে।”

 

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহবান জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগের সুযোগ নিতে পারে। এতে উভয় দেশই লাভবান হবে।” উভয় মন্ত্রী দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন।

 

প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে জাকার্তায় ৩০তম আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ও ড. বালাকৃষ্ণন। প্রায় দুই মাসের মাথায় নিউইয়র্কে দ্বিতীয় দফায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছেন মোমেন- বালাকৃষ্ণন।

 

১৯৭২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ১৯৭৩ সালে দেশটির সঙ্গে একটি বাণিজ্য কমিশন করে বাংলাদেশ। পরবর্তী সময়ে দশ বছর পর একজন আবাসিক হাইকমিশনারের নেতৃত্বে দেশটিতে ১৯৮৩ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক মিশন খোলে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ১৯৯৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় কনস্যুলেট অফিস খোলে সিঙ্গাপুর।