ঢাকা , শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বোসেলের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর ভুয়া বিজ্ঞাপন থেকে সাবধান সরকারিভাবে ফিজিতে কর্মী নিয়োগ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি সাংবাদিককে অপহরণের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ভবণ ধস, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ মালয়েশিয়ায় নিখোজঁ ৪ বাংলাদেশি আটক, ৩ কর্মীর মৃত্যুতে হাইকমিশনের শোক মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে নিহত তিন বাংলাদেশির পরিচয় শনাক্ত লিবিয়া থেকে দেশে ফিরল ১৪৩ বাংলাদেশি, অপেক্ষায় আরও ৩২০ জন মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যু, নিখোজঁ ৪ প্রথমবারের মত তৈরি হচ্ছে বিদেশ ফেরত কর্মীদের তথ্যভান্ডার: প্রবাসী কল্যাণ সচিব বিদেশ ফেরত ২ লাখ কর্মী পাবে ২৭০ কোটি টাকা প্রণোদনা

মালয়েশিয়ায় নাইট ক্লাবে অভিযান, ৫ বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ৪৫

Print Friendly, PDF & Email

 

মালয়েশিয়ার মেলাকা প্রদেশের একটি নাইট ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ৫ বাংলাদেশিসহ ৪৫ অভিবাসেকে গ্রেপ্তার করেছে  দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির পুলিশ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, গেল বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেলাকা প্রদেশের বন্দর হিলির তামান মেলাকা রায়ার নাইট ক্লাবে অভিযান চালানো হয়।

 

 

অভিযানে বেশ কয়েকজনের কাগজপত্র চেক করার পর ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ১৫ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক, সবাই নারী। এই ১৫ নারী ও ৫ বাংলাদেশি ওই নাইট ক্লাবের কর্মচারী। একই সময়ে অন্যান্য প্রদেশের কয়েকটি নাইট ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। গেপ্তার করা হয় আরও ২৫ জনকে। সব মিলিয়ে ৪৫ জনকে গেপ্তার করেছে অভিবাসন বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, তাদের কাছে বৈধ কোন কাগজপত্র নেই।

 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, অনেকেই ওয়ার্ক পারমিট বা পারমিট পাসের শর্ত লঙ্ঘন করে ভিজিট ভিসায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছে। এরপর পতিতাবৃত্তি ও বডি ম্যাসেজের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণেই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

 

 

গ্রেপ্তার হওয়া বিদেশি নারীদের নাইট ক্লাবে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য রাখা হয়েছিল। ক্লাবে তাদেরকে ‘ফুলের নেকলেস’ বলে ডাকা হয়। তারা নাইটক্লাবে আসা পুরুষদের মনোরঞ্জন করে প্রতি রাতে জনপ্রতি ২০০ থেকে ১ হাজার রিঙ্গিত আদায় করে আসছিলেন বলে জানায় দেশটির ইমিগ্র্রেশন পুলিশ।

 

নাইটক্লাবের প্রহরী ও ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী দুই স্থানীয় ব্যক্তি ছাড়াও একই অভিযোগে ক্লাবটির কর্মচারী ৫ বাংলাদেশিকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এর ৫৫বি ধারা ও ৫৬(১)(ডি) ধারা ও ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশনের ৩৯(বি) ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

Tag :

বোসেলের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর ভুয়া বিজ্ঞাপন থেকে সাবধান

মালয়েশিয়ায় নাইট ক্লাবে অভিযান, ৫ বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ৪৫

আপডেট: ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Print Friendly, PDF & Email

 

মালয়েশিয়ার মেলাকা প্রদেশের একটি নাইট ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ৫ বাংলাদেশিসহ ৪৫ অভিবাসেকে গ্রেপ্তার করেছে  দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির পুলিশ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, গেল বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেলাকা প্রদেশের বন্দর হিলির তামান মেলাকা রায়ার নাইট ক্লাবে অভিযান চালানো হয়।

 

 

অভিযানে বেশ কয়েকজনের কাগজপত্র চেক করার পর ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ১৫ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক, সবাই নারী। এই ১৫ নারী ও ৫ বাংলাদেশি ওই নাইট ক্লাবের কর্মচারী। একই সময়ে অন্যান্য প্রদেশের কয়েকটি নাইট ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। গেপ্তার করা হয় আরও ২৫ জনকে। সব মিলিয়ে ৪৫ জনকে গেপ্তার করেছে অভিবাসন বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, তাদের কাছে বৈধ কোন কাগজপত্র নেই।

 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, অনেকেই ওয়ার্ক পারমিট বা পারমিট পাসের শর্ত লঙ্ঘন করে ভিজিট ভিসায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছে। এরপর পতিতাবৃত্তি ও বডি ম্যাসেজের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণেই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

 

 

গ্রেপ্তার হওয়া বিদেশি নারীদের নাইট ক্লাবে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য রাখা হয়েছিল। ক্লাবে তাদেরকে ‘ফুলের নেকলেস’ বলে ডাকা হয়। তারা নাইটক্লাবে আসা পুরুষদের মনোরঞ্জন করে প্রতি রাতে জনপ্রতি ২০০ থেকে ১ হাজার রিঙ্গিত আদায় করে আসছিলেন বলে জানায় দেশটির ইমিগ্র্রেশন পুলিশ।

 

নাইটক্লাবের প্রহরী ও ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী দুই স্থানীয় ব্যক্তি ছাড়াও একই অভিযোগে ক্লাবটির কর্মচারী ৫ বাংলাদেশিকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এর ৫৫বি ধারা ও ৫৬(১)(ডি) ধারা ও ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশনের ৩৯(বি) ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।