ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠাতে দেশটির কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রিয়াদে দেশটির মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শ্রম অফিস (মক্তব আমল) এর চেয়ারম্যান সাউদ বিন সাবাব আস এর সাথে স্পেশাল এক্সিট সুবিধার আওতায় বাংলাদেশি কর্মীরা কীভাবে সুবিধা পেতে পারে এ বিষয়ে মতবিনিময়কালে এ অনুরোধ জানান দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান বলেন, “সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ২৮ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী কাজ করেন। যাদের মধ্যে অনেকেরই ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ বা হুরুব থাকার কারণে বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য দূতাবাসে আসছেন। তাই সেবা গ্রহণের জন্য সৌদি আরবের দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সশরীরে দূতাবাসে এসে থাকেন বা অনেকেই অনলাইনে আবেদন করে থাকেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ সংক্রান্ত প্রবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ফাইনাল এক্সিট ভিসা প্রদানের কাজটি করে থাকে সৌদি শ্রম অফিস এবং পরবর্তীতে ডিপোর্টেশন কর্তৃপক্ষ।”
তিনি আরো বলেন, “ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ সংক্রান্ত অনেক প্রবাসী মারাত্মক অসুস্থতা, অঙ্গহানীসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন যা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।” এর জন্য মক্তব আমলের ক্লিয়ারেন্স ইস্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য অনুরোধ করেন মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা।
এ বিষয়ে রিয়াদের শ্রম অফিস চেয়ারম্যান সাউদ বিন সাবাব আস বলেন, “স্পেশাল এক্সিট এর আওতায় এক্সিট প্রাপ্তদের বড় একটা অংশ দেশে ফেরত যাচ্ছেন না, যার ফলে আবারো তারা সৌদি শ্রম আইন ভঙ্গ করছেন এবং আবারো অবৈধ হয়ে পড়ছেন।” তাই এই বিষয়ে দূতাবাসের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান রিয়াদের শ্রম অফিস চেয়ারম্যান সাউদ বিন সাবাব আস।
মূলত সৌদিতে ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর দীর্ঘসূত্রতা লাঘবের লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষকে এই অনুরোধ জানানো হয়।