সুষ্ঠ ও সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখায় হজ এজেন্সীজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
সম্প্রতি ধর্ম সচিব আনুষ্ঠানিক এক চিঠির মাধ্যমে হাবের সভাপতিকে এ ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে ভবিষ্যতে হাবের সভাপতির কাছ থেকে হজ ব্যবস্থাপনায় সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন ধর্ম সচিব।
চিঠিতে ধর্ম সচিব লেখেন, “ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবং ২০২৩ সনের হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ৬০৩টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে হজযাত্রী পাঠানো এজেন্সি গুলোকে সময়োচিত পরামর্শ ও সার্বক্ষণিক সহায়তা দেওয়া, বিশেষ করে এসএন ট্রাভেলসের মাধ্যমে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর তাদের সৌদি আরবে পাঠানোর ক্ষেত্রে আপনার অসামান্য অবদান আমি আন্তরিকতার সঙ্গে স্মরণ করছি। সুষ্ঠ হজ ব্যবস্থাপনা এবং আল্লাহর মেহমানদের সেবায় আপনার প্রজ্ঞা ও শ্রমের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
হাব সভাপতির উদ্দেশ্যে সচিব আরও লেখেন, “আগামী দিনগুলোতে হজ ব্যবস্থাপনায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সহায়তা দেওয়াসহ সম্মানিত হাজীদের সঠিকভাবে সেবা প্রদানে অবদান রাখার জন্য মহান আল্লাহ আপনাকে তৌফিক দান করুন। মহান আল্লাহর কাছে আপনার সুস্থ ও সুখময় জীবন কামনা করছি।”
চিঠিতে ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম স্তম্ভ উল্লেখ করে সচিব লিখেন, “ইসলামী বিধান অনুযায়ী আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ও শারীরিকভাবে সক্ষম সকল মুসলমান নর-নারীর জন্য হজ ফরজ। হজে বিশ্বের সব দেশের মুসলমানদের মহাসম্মেলন হয়। আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে, বাংলাদেশ থেকে ১৪৪৪ হিজরি/২০২৩ খ্রিস্টাব্দের হজে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে সর্বমোট ১ লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন ধর্মপ্রাণ হাজী হজব্রত পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় গমন করেন এবং হজের যাবতীয় রীতি-নীতি যথাযথভাবে সম্পাদন করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।”
হজে গমনেচ্ছু সব হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন, নিবন্ধন, বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট, ভিসা কার্যক্রম সম্পাদন, ফ্লাইট সিডিউল নির্ধারণ, নির্ধারিত ফ্লাইটে সৌদি আরব গমন এবং সেখানে হজযাত্রীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হয়।