সুষ্ঠ ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ২০২৪ সালের হজযাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে অযৌক্তিক বর্ধিত বিমান ভাড়া কমানোর জন্য বিমান প্রতিমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছে হজ এজেন্সীজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) হাবের মহাসচিব ফারুক আহমদ সরদার স্বাক্ষরিত চিঠিটি বিমান প্রতিমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে অবগতি ও প্রয়োজনীয় কার্যার্থে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়।
চিঠিতে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিমান ভাড়ার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে ২০২৩ সালে নির্ধারিত ভাড়াকে একেবারে অযৌক্তিক দাবি করে যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের আবেদন জানিয়েছে হাব।
২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণার জন্য হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণের লক্ষে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সমন্বয়ে একটি সভা আয়োজনের জন্য বিমান মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয় চিঠিতে। একইসঙ্গে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণে প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আশা করছে হাব।
এ বিষয়ে হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, “আমরা আশা করছি আগামী বছর সুষ্ঠ, সুশৃঙ্খল ও সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে এবার বর্ধিত বিমান ভাড়া কমানোর কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা শুধু চিঠি দিয়ে বসে থাকবো না, বরং সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে দেখা-সাক্ষাৎ করে আলাপ-আলোচনা করবো। তাদের বুঝাবো কমানোর যৌক্তিকতা কী, এর সুফল কী হবে।”
তিনি বলেন, “২০২৩ সালে বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবতার নিরিখে অনেক বেশি ও অযৌক্তিক ছিল। যে কারণে হজ প্যাকেজ ঘোষণার পর সর্বমহলে তা গ্রহণযোগ্য হয়নি বরং সমালোচিত হয়েছে। যেহেতু বিমান একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, তাই তাদের একক কর্তৃত্বে বিমান ভাড়া নির্ধারণ যথাযথ হয়নি। বরং এই অতিরিক্ত বিমান ভাড়া এবং হজ প্যাকেজের উচ্চমূল্য নিয়ে হজযাত্রীসহ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।”
হাবের সভাপতি আরো বলেন, “আমরা ২০২৩ সালে এই অযৌক্তিক বিমানভাড়া কমানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু হজের একেবারে শেষ সময় চলে আসায় সম্ভব হয়নি। আগামী বছর হজযাত্রীরা যাতে স্বস্তির সাথে হজ করতে পারেন এজন্য আগেভাগেই এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছি।” এরই প্রেক্ষিতে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন হজ এজেন্সীজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।