ঢাকা , রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাহরাইনে অবৈধদের গ্রেফতার অভিযান, প্রবাসীদের সতর্ক করল দূতাবাস প্রবাসীদের কল্যাণে সফল এক উদ্যোগ ‘জীবন বীমা’: মন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১২ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার প্রধানমন্ত্রীর কা‍র্যালয়ের নজরদারিতে বিএমইটি, পরিব‍র্তনের চ্যালেঞ্জে নতুন মহাপরিচালক ২০২৪ সালে হজে যেতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশি অনলাইনে কর্মীদের সাথে প্রতারণা, সতর্ক থাকতে দুবাই কন্স্যুলেটের অনুরোধ কর্মী ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সতর্কবার্তা মালয়েশিয়ায় মৃত্যুদন্ড থেকে রেহাই পেলেন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী প্রবেশের হার উদ্বেগজনক, ‘অ্যান্ডি হল’ ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণা

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ২’শ কর্মীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি

Print Friendly, PDF & Email

 

মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশিসহ ২০০ অভিবাসী কর্মীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়েছে দেশটির নিয়োগকারী কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানা কর্তৃক এই হুমকির মধ্যে আছেন বাংলাদেশ ও নেপালের অভিবাসী কর্মী, যারা কয়েক মাস আগেই দেশটিতে কাজে যোগদান করেছেন।

 

একজন অভিবাসী কর্মী একটি মুরগি প্রক্রিয়াকরণ কারখানার কাজের পরিবেশ এবং বেতন বিলম্বে দেওয়ার অভিযোগ করায় কর্তৃপক্ষ এ হুমকি দিয়েছে। এ বিষয়ে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টু ডে এই খবর প্রকাশ করে।

 

সংবাদ সূত্রে জানা যায়, এই অভিযোগে কর্তৃপক্ষ ক্লাং উপত্যকায় একটি মুরগির প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় কাজ করা দুই শতাধিক বাংলাদেশি এবং নেপালি কর্মীকে নির্বাসনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

 

অভিবাসী কর্মী অধিকার অ্যান্ডি হলের বরাত দিয়ে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেতে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, কর্ম পরিবেশ ও বিলম্বে বেতন দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগের পরপর কর্মীদের ক্যান্টিনে জড়ো করে এবং সাবধান করে দেয় যে তারা যেন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার বাইরে কোনো বিষয়ে করো সাথে যোগাযোগ না করে। বহিরাগতদের কাছে তথ্য দিলে এবং এই ধরনের যোগাযোগ অব্যাহত থাকলে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি জারি করেছিল।

 

কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের পর কর্মীরা শেষ পর্যন্ত তিন মাসের বেতন পেয়েছে, কিন্তু এখনও তাদের পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়নি । এ ঘটনায় দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ও শ্রম বিভাগ সংশ্লিষ্ট কারখানার কাছ থেকে কারন জানতে চেয়েছে।

 

বাংলাদেশি কর্মীরা ডিসেম্বরে পেনাংয়ে কাজের জন্য আসার পরে আটকে পড়েছিল। কর্মীরা জানান, এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের জোহর বারু একটি কারখানায় পাঠিয়েছিল কিন্তু দুই ঘণ্টা পর সেখান থেকে তাদের ফেরত পাঠায়। তারপরে তাদের সুবাং জায়ার একটি ছাত্রাবাসে রাখা হয়েছিল, যেখানে একটি মাত্র টয়লেট ছিল এবং একটি মুরগির প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় কাজ করার জন্য রাখা হয়।

Tag :
জনপ্রিয়

বাহরাইনে অবৈধদের গ্রেফতার অভিযান, প্রবাসীদের সতর্ক করল দূতাবাস

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ২’শ কর্মীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি

আপডেট: ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Print Friendly, PDF & Email

 

মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশিসহ ২০০ অভিবাসী কর্মীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়েছে দেশটির নিয়োগকারী কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানা কর্তৃক এই হুমকির মধ্যে আছেন বাংলাদেশ ও নেপালের অভিবাসী কর্মী, যারা কয়েক মাস আগেই দেশটিতে কাজে যোগদান করেছেন।

 

একজন অভিবাসী কর্মী একটি মুরগি প্রক্রিয়াকরণ কারখানার কাজের পরিবেশ এবং বেতন বিলম্বে দেওয়ার অভিযোগ করায় কর্তৃপক্ষ এ হুমকি দিয়েছে। এ বিষয়ে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টু ডে এই খবর প্রকাশ করে।

 

সংবাদ সূত্রে জানা যায়, এই অভিযোগে কর্তৃপক্ষ ক্লাং উপত্যকায় একটি মুরগির প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় কাজ করা দুই শতাধিক বাংলাদেশি এবং নেপালি কর্মীকে নির্বাসনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

 

অভিবাসী কর্মী অধিকার অ্যান্ডি হলের বরাত দিয়ে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেতে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, কর্ম পরিবেশ ও বিলম্বে বেতন দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগের পরপর কর্মীদের ক্যান্টিনে জড়ো করে এবং সাবধান করে দেয় যে তারা যেন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার বাইরে কোনো বিষয়ে করো সাথে যোগাযোগ না করে। বহিরাগতদের কাছে তথ্য দিলে এবং এই ধরনের যোগাযোগ অব্যাহত থাকলে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি জারি করেছিল।

 

কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের পর কর্মীরা শেষ পর্যন্ত তিন মাসের বেতন পেয়েছে, কিন্তু এখনও তাদের পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়নি । এ ঘটনায় দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ও শ্রম বিভাগ সংশ্লিষ্ট কারখানার কাছ থেকে কারন জানতে চেয়েছে।

 

বাংলাদেশি কর্মীরা ডিসেম্বরে পেনাংয়ে কাজের জন্য আসার পরে আটকে পড়েছিল। কর্মীরা জানান, এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের জোহর বারু একটি কারখানায় পাঠিয়েছিল কিন্তু দুই ঘণ্টা পর সেখান থেকে তাদের ফেরত পাঠায়। তারপরে তাদের সুবাং জায়ার একটি ছাত্রাবাসে রাখা হয়েছিল, যেখানে একটি মাত্র টয়লেট ছিল এবং একটি মুরগির প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় কাজ করার জন্য রাখা হয়।