মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছে সম্পূর্ণ বিনা খরচে যাওয়া সেই ৩১ কর্মী। সোমবার (২৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় এই কর্মীদের বহন করা মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা ‘রেড উড’ ফির্নিচার এসডিএন বিএইচডি কোম্পানির পক্ষ থেকে এই কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রবাস বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সহকারী ম্যানেজার মোঃ একরামুল হক মিশু।
তিনি বলেন, “নিয়োগদাতা কোম্পানির পক্ষ থেকে তাদের রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তারা এই কর্মীদের সকালে বিমানবন্দরে রিসিভ করেছে। এরপর বিমানবদরের সকল কাজ শেষ করে নির্ধারিত গাড়িতে করে জহুরবারু শহরে অবস্থিত রেড উড’ ফার্নিচার এসডিএন বিএইচডি কোম্পানিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” খুব শিগগিরি এই কর্মীরা কাজে যোগদান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে রবিবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সে করে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন এই কর্মীরা।
এর আগে রবিবার বিকেলে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমইটির সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই কর্মীদের হাতে পাসপোর্ট, ভিসা ও বিএমইটি’র ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড তুলে দেন বিএমইটির মহাপরিচালক মো: শহীদুল আলম এনডিসি ও রিক্রুটিং এজেন্সি ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল এর কর্ণধার মো. রুহুল আমিন স্বপন।
এসময় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও পরার্মশ দেন বিএমইটির মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্ট এজেন্সির কর্মকর্তারা। পরে এই কর্মদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হয়।
চলতি বছরে ১৯ জুন প্রথমবারের মতো বেসরকারিভাবে সম্পূর্ণ বিনা খরচে মালয়েশিয়া গিয়েছে ২০ কর্মী। বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও জেজি আল ফালাহ ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনায় এইসব কর্মী গেছে মালয়েশিয়ায়।
ঐদিন সকালে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায় ‘ক্যাথারসিস কমপ্লেক্সে’ বিনা খরচে মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীদের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্মীদের বিদায় জানিয়েছিলেন, বায়রা’র সাবেক মহাসচিব ও ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির কর্ণধার রুহুল আমিন স্বপন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সারওয়ার আলম’সহ মন্ত্রণালয় ও বিএমইটির কর্মকর্তারা।