মালয়েশিয়ায় কর্মীদের বেতন আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের আলোকে নিয়োগদাতাদের আইন মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় বলছে, বেতন পাননি বা বেতন আটকে রাখা হয়েছে এমন কিছু কর্মীর অভিযোগের পর নিয়োগদাতাদেরকে এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৫ (অ্যাক্ট ২৬৫) মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি. শিবকুমার বলেছেন, “আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) দ্বারা বর্ণিত বাধ্যতামূলক শ্রমের ১১টি সূচকের মধ্যে অবৈতনিক বা আটকে রাখা মজুরি অন্যতম। মন্ত্রণালয় সবসময় কর্মীদের সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। বিশেষ করে বাধ্যতামূলক শ্রম, এবং উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া খুঁজে বের করছে।”
মন্ত্রী বলেন, “দেরিতে বা আটকে রাখা মজুরি সম্পর্কে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মজুরি প্রদানের সাথে নিয়োগকর্তাদের সম্মতি উন্নত করা আমাদের দেশের প্রতিটি নিয়োগকর্তার ক্ষমতা নিরীক্ষণের একটি প্রক্রিয়া।”
২২ আগষ্ট এক বিবৃতিতে ভি. শিবকুমার বলেন , “ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কর্মীদের মজুরি প্রদানের নির্দেশনা আইন ২৬৫-এ অনেক আগেই উল্লেখ করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “শুধুমাত্র কর্মচারীর অনুরোধে বা মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগের মহাপরিচালকের অনুমতি নিয়ে কর্মীদের নগদ বা চেকে মজুরি প্রদান করা যেতে পারে। আইনের ধারা ২৫এ(১) এর অধীনে বলা হয়েছে।”
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, “যেকোন নিয়োগকর্তা নির্ধারিত হিসাবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বেতন প্রদান করে না। এটি একটি অপরাধ এবং দোষী সাব্যস্ত হলে ৫০ হাজার রিঙ্গিত এর বেশি জরিমানা করা হবে।”