নিরাপত্তা প্রহরী, চালক, বাড়ির কৃষক ও বাবুর্চি সেক্টরে বাংলাদেশ’সহ ২৯টি দেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী গৃহকর্মী নিয়োগ দিচ্ছে সৌদি আরব।
বুধবার (১৬ আগস্ট) দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদিতে নারী কর্মীদের সুরক্ষায় তৈরি করা আইটি প্লাটফর্ম মুসানেদ জানিয়েছে, গত মাসে দেশটিতে ৭৫ হাজার ৬৫৩ জন গৃহকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর এ নিয়োগের তালিকায় শীর্ষে ছিল পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, ভারত ও ইথিওপিয়া।
গৃহকর্মীদের মধ্যে পুরুষ ও নারী উভয় নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যেসব সেক্টরে গৃহকর্মী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো নিরাপত্তা প্রহরী, চালক, বাড়ির কৃষক ও বাবুর্চি।
এদিকে, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশি গৃহকর্মী নিয়োগে সর্বোচ্চ খরচের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। জানা যায়, গৃহকর্মী নিয়োগে উগান্ডা থেকে ৯ হাজার ৫০০ রিয়াল, থাইল্যান্ড থেকে ১০ হাজার রিয়াল, কেনিয়া থেকে ১০ হাজার ৮৭০ রিয়াল, বাংলাদেশ থেকে ১৩ হাজার রিয়াল, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৫ হাজার রিয়াল, ফিলিপাইন থেকে ১৭ হাজার ২৮৮ রিয়াল, বুরুন্ডি থেকে ৭ হাজার ৫০০ ও ইথিওপিয়া থেকে ৬ হাজার ৯০০ রিয়ালের মধ্যে রাখতে হবে।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে গৃহকর্মী নেওয়ার জন্য চুক্তি হয়। এর মাধ্যমে সাত বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানি শুরু হয়েছে। সৌদি সরকার তখন ২ লাখের বেশি নারীকর্মীর চাহিদা জানিয়েছিল। বিপরীতে বাংলাদেশ প্রতি মাসে ১০ হাজার নারী গৃহকর্মী পাঠানোর কথা বলে। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি গৃহকর্মী সৌদি আরবে কাজ করছেন বলে জানা যায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপুল সংখ্যক নারী গৃহকর্মী সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন। সেখানে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগও করেছেন অনেকে।