অবশেষে নানা দেন-দরবার ও ঘটনা প্রবাহের পর ক্ষতিপূরনের অর্থ বুঝে পেলেন ভুক্তভোগী সৌদি আরব ফেরত প্রবাসী সেই খালেক মিয়া।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমটিতে ভুক্তভোগী খালেক মিয়ার কাছে ক্ষতিপূরনের অর্থ বুঝিয়ে দেন অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সি বিজিএল ওভারসীজ লিমিটেডের প্রতিনিধিরা। বিএমইটি’র উপপরিচালক মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে এই অর্থ তুলে দেয়া হয় খালেক মিয়ার হাতে।
এ বিষয়ে বিএমইটির উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, বিএমইটির মধ্যস্থতায় অভিযোগাকরী ও অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সি উভয়পক্ষ ক্ষতিপূরণ দেয়া ও নেয়ার মাধ্যমে অভিযোগটি নিষ্পত্তি করেন। এবিষয়ে পরবরতিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন দাখিলের পর এজেন্সিটির লাইসেন্স স্থগিতাদেশের বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়ার দুই মাস পর ক্ষতিপূরণের অর্থ হাতে পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন খালেক মিয়া। এজন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ও সচিব এবং বিএমইটির মহাপরিচালকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভুল করেননি তিনি।
আর ক্ষতিপূরণের এই অর্থ দিয়ে খালেক মিয়া স্বপ্ন দেখছেন আবারো বিদেশ পাড়ি দেয়ার। উদ্দেশ্য একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে নিজের ও পরিবারের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফেরানো এবং দেশে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা। এবিষয়েও আশাবাদী তার ছোট ভাই হাফিজুর রহমান।
বিজিএল ওভারসীজ লিমিটেডের মাধ্যমে চলতি বছরের ২ এপ্রিল সৌদি আরব যান সিরাজগঞ্জের খালেক মিয়া। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এজেন্সি কাজ না দেয়ায় গেল ২৪ মে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীর ছোট ভাই মোঃ হাফিজুর রহমান। এরই প্রেক্ষিতে গেল ৮ জুন বিজিএল ওভারসীজ লিমিটেডের লাইসেন্স স্থগিত করে মন্ত্রণালয়। এরপর গেল ২১ জুলাই সৌদি থেকে দেশে ফিরেন খালেক মিয়া। তার পরেরদিন ২২ জুলাই এক সাক্ষাৎকারে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তিনি। আর এই ক্ষতিপূরণের বিষয়ে গেল ২৪ জুলাই বিএমইটি’র মধ্যস্থতায় দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টার আলাপ আলোচনা শেষে ভুক্তভোগী খালেক মিয়াকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সি বিজিএল ওভারসীজ লিমিটেড।