প্রথমবারের মতো বেসরকারিভাবে সম্পূর্ণ বিনা খরচে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও জেজি আল ফালাহ ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাপনায় ২০ কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে।
সোমবার (১৯ জুন) রাত ১১ টায় মালিন্ড এ্যায়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন এই কর্মীরা । ইন্সটাইল সোফা নামের একটি ফার্নিচার কোম্পানিতে পাঠানো হচ্ছে এই কর্মীদের।
এইদিন সকালে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায় ‘ক্যাথারসিস কমপ্লেক্সে’ বিনা খরচে মালয়েশিয়া যাওয়ার বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বায়রা’র সাবেক মহাসচিব ও ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির কর্ণধার রুহুল আমিন স্বপন।
তিনি বলেন, ‘জিরো কস্ট মাইগ্রেশন” কর্মীদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি সুসংবাদ। এতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও সচিব মহোদয় এর দীর্ঘ দিনের একটি আশা পুরণ হয়েছে। ‘জিরো কস্ট মাইগ্রেশন” প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি শুরু হওয়ার ফলে বাংলাদেশী কর্মীদের অভিবাসন খরচ হ্রাস পাবে এবং বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও সৃষ্টি হবে ইতিবাচক সুযোগ।”
এছাড়া বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়া একটি পছন্দের শ্রমবাজার উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশটিতে বিনা খরচে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়াকে আরো স্বচছ রাখতে এ খাতের সাথে জড়িত সবাইকে সচেতন ভাবে কাজ করতে হবে। যাতে দেশটিতে বিনা খরচে কর্মী পাঠানোর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা যায়।
বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে দেশটিতে যেতে একজন কর্মীকে গুনতে হয় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। আর এই কর্মীরা দেশটিতে পারি দিলেন সম্পূর্ণ বিনা খরচে। মেডিকেল, ভিসা থেকে শুরু করে বিমান ভাড়া সকল খরচ বহন করেছে নিয়োগদাতা কোম্পানি। স্পেশাল ওয়ান অব রিক্রুটমেন্ট প্রজেক্ট এর আওতায় দেশটিতে পাঠানো হচ্ছে এই কর্মীদের। আর রিক্রুটিং এজেন্সির এমন উদ্যোগে বিনা খরচে মালয়েশিয়া যেতে পারছেন বলে আনন্দ প্রকাশ করেন কর্মীরা।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সারওয়ার আলম’সহ মন্ত্রণালয় ও বিএমইটির কর্মকর্তারা।