ঢাকা , শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

মালয়েশিয়ায় বিদেশী কর্মী নিয়োগে ১১ লাখ ৩৬ হাজার কোটা অনুমোদন

Print Friendly, PDF & Email

 

চলতি বছরের ১৮ মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় বিদেশী কর্মী নিয়োগে ছয়টি কর্মসংস্থান খাতে জন্য ১১ লাখ ৩৬ হাজার ২২ টি কর্মসংস্থান কোটা অনুমোদন করেছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এরমধ্যে উৎপাদন খাতে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ১০৬, নির্মাণ খাতে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৯, সেবা খাতে ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৯০, আবাদ খাতে ৮৫ হাজার ৬৭৮, কৃষি খাতে ৪৯ হাজার ৪৭৩ এবং খনি ও খনন খাতে ৩৭৬ টি কোটা অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মোট কোটার মধ্যে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯০ বা ৪১ শতাংশ চলতি বছরের ৩ জানুয়ারী থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রনালয়, যার মধ্যে ১০ হাজার ৯৩ জন নিয়োগকর্তা রয়েছেন।

শুক্রবার (১৬ জুন) দেওয়ান রাকায়াতে (জাতীয় সংসদ) প্রশ্নোওর পর্বে সংসদ সদস্য লিম লিপ ইঞ্জি (পিএইচ-কেপং) এর একটি প্রশ্নের জবাবে মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমার এ তথ্য জানান।

শিবকুমার বলেন, এই বিষয়ে অর্থাৎ বিদেশী কর্মী কোটার অনুমোদন দেওয়া নিয়োগকর্তাদের দ্বারা বিদেশী কর্মীদের প্রবেশের প্রক্রিয়ার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও দেশের স্বার্থ এবং খ্যাতি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়োগকর্তাদের দ্বারা শ্রমের মান মেনে চলার উপরও নজর দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।

এদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র বলছে, দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ২৭ হাজার ৭৫৯ নতুন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২ জুন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩২৮ কর্মীর চাহিদাপত্র সত্যায়ন করেছে হাইকমিশন। আর দেশটিতে পৌঁছেছেন (২ জুন পর্যন্ত) ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪০৩ কর্মী। এছাড়া সত্যায়ন করা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৫ কর্মী বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

২০২২ সালের ৮ আগস্ট মাসে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার পর শুরুতে বাংলাদেশি কর্মী যাওয়ার গতি কিছুটা কম থাকলেও চলতি বছরের প্রথম থেকেই পুরোদমে কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে। এরমধ্যে জানুয়ারিতে গেছে ২৪ হাজার ৯৯৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৯ হাজার ৩২০, মার্চে ২৮ হাজার ৫৮৯ আর এপ্রিলে গেছে ১৮ হাজার ৫৬৫ কর্মী। সবমিলে গেল ৫ মাসে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫৮ কর্মী দেশটিতে পাড়ি দিয়েছেন বলে বিএমইটির বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পর্কিত পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে।

Tag :
জনপ্রিয়

মালয়েশিয়ায় মৃত্যুদন্ড থেকে রেহাই পেলেন বাংলাদেশি

মালয়েশিয়ায় বিদেশী কর্মী নিয়োগে ১১ লাখ ৩৬ হাজার কোটা অনুমোদন

আপডেট: ১১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
Print Friendly, PDF & Email

 

চলতি বছরের ১৮ মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় বিদেশী কর্মী নিয়োগে ছয়টি কর্মসংস্থান খাতে জন্য ১১ লাখ ৩৬ হাজার ২২ টি কর্মসংস্থান কোটা অনুমোদন করেছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এরমধ্যে উৎপাদন খাতে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ১০৬, নির্মাণ খাতে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৯, সেবা খাতে ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৯০, আবাদ খাতে ৮৫ হাজার ৬৭৮, কৃষি খাতে ৪৯ হাজার ৪৭৩ এবং খনি ও খনন খাতে ৩৭৬ টি কোটা অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মোট কোটার মধ্যে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯০ বা ৪১ শতাংশ চলতি বছরের ৩ জানুয়ারী থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রনালয়, যার মধ্যে ১০ হাজার ৯৩ জন নিয়োগকর্তা রয়েছেন।

শুক্রবার (১৬ জুন) দেওয়ান রাকায়াতে (জাতীয় সংসদ) প্রশ্নোওর পর্বে সংসদ সদস্য লিম লিপ ইঞ্জি (পিএইচ-কেপং) এর একটি প্রশ্নের জবাবে মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমার এ তথ্য জানান।

শিবকুমার বলেন, এই বিষয়ে অর্থাৎ বিদেশী কর্মী কোটার অনুমোদন দেওয়া নিয়োগকর্তাদের দ্বারা বিদেশী কর্মীদের প্রবেশের প্রক্রিয়ার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও দেশের স্বার্থ এবং খ্যাতি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়োগকর্তাদের দ্বারা শ্রমের মান মেনে চলার উপরও নজর দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।

এদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র বলছে, দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ২৭ হাজার ৭৫৯ নতুন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২ জুন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩২৮ কর্মীর চাহিদাপত্র সত্যায়ন করেছে হাইকমিশন। আর দেশটিতে পৌঁছেছেন (২ জুন পর্যন্ত) ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪০৩ কর্মী। এছাড়া সত্যায়ন করা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৫ কর্মী বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

২০২২ সালের ৮ আগস্ট মাসে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার পর শুরুতে বাংলাদেশি কর্মী যাওয়ার গতি কিছুটা কম থাকলেও চলতি বছরের প্রথম থেকেই পুরোদমে কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে। এরমধ্যে জানুয়ারিতে গেছে ২৪ হাজার ৯৯৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৯ হাজার ৩২০, মার্চে ২৮ হাজার ৫৮৯ আর এপ্রিলে গেছে ১৮ হাজার ৫৬৫ কর্মী। সবমিলে গেল ৫ মাসে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫৮ কর্মী দেশটিতে পাড়ি দিয়েছেন বলে বিএমইটির বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পর্কিত পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে।