চলতি বছর মক্কা রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে সৌদি আরবে যাওয়া সকল হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া বিমানে ওঠার আগে বাংলাদেশেই সম্পন্ন করা হচ্ছে। এজন্য দেশটির সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বিশেষ এক সভায় অংশ নিয়ে সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান রিয়াদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)।
সভায় সৌদি হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউযান আল রাবিয়া সভাপতিত্ব করেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এ বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২২ হাজার হজযাত্রী পবিত্র হজে অংশগ্রহণ করবেন। যাদের সকলের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন হচ্ছে। যা হজযাত্রীদের সৌদি আরবে আগমনকে ঝামেলামুক্ত ও নির্বিঘ্ন করেছে। হজ সংক্রান্ত অটোমেশন ও অনলাইন ব্যবস্থাপনা হজ ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর সুন্দরভাবে হজ আয়োজনের জন্য মুসলিম উম্মাহর দুই পবিত্র মসজিদের সেবক সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও ক্রাউন প্রিন্স প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মক্কায় সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তম সমাবেশ পরিচালনা করা একটি বিশাল দায়িত্ব। সৌদি আরব ভিশন ২০৩০ এর অধীনে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করেছে যা মানুষের হজ ও ওমরাহকে সহজসাধ্য ও আরামদায়ক করে তুলেছে।
সভার শুরুতে, সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ২০২৩ সালের হজ ব্যবস্থাপনার উপর একটি ব্রিফিং প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত পবিত্র হজ ব্যবস্থাপনাকে সফল করতে সৌদি আরবের প্রতি বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেন ও এর সফলতা কামনা করেন।
ওআইসির এ সভায় বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা যোগ দেন। সভায় ওআইসির মহাসচিব হুসেইন ইব্রাহিম তাহা উপস্থিত ছিলেন।