সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৫ জুন থেকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাস গ্রীষ্মকালীন মধ্যাহ্ন কর্মবিরতি আইন চালু থাকবে।
আমিরাতে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এই তিন মাস স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাইরে খোলা আকাশের নিচে কোনো কাজ করা যাবে না। বিশেষ করে নির্মাণ শ্রমিক বা অফিসের বাইরে কাজ করার বিষয়ে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
এই সময় বাইরে কাজ করলে কর্মীরা যেমন জরিমানার মুখোমুখি হবেন তেমনি নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানকে গুণতে হবে প্রায় ১৫ লাখ টাকার জরিমানা। মধ্যাহ্ন বিরতির এই আইন ভঙ্গকারী বা অমান্যকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কম্পানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পরিমাণের জরিমানাসহ নানা ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এই আইন একবার অমান্যকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর্মী প্রতি পাঁচ হাজার দিরহাম থেকে পঞ্চাশ হাজার দিরহাম পর্যন্ত তাৎক্ষণিক জরিমানার কথা বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের মতো শাস্তি দেয়া হবে বলে জানায় দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।
পাশাপাশি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় আরও জানান, গ্রীষ্মকালীন মধ্যাহ্ন কর্মবিরতির কারণে কর্মীদের কর্মঘণ্টা কমে এলেও বেতন কাটা যাবে না। বরং পূর্বনির্ধারিত মাসিক বেতনই সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে।
তবে জনগণের ক্ষতি হবে বা দেশের ক্ষতি হবে, এমন কাজকর্ম এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছে। যেমন- দুর্যোগ, ক্ষতি বা দুর্ঘটনা প্রতিরোধের কাজ, লাইন কাটা, পানি সরবরাহ, সুয়ারেজ, বিদ্যুৎ, ট্রাফিক কমানো বা বাড়ানো, রোড ব্লক অথবা গ্যাস বা পেট্রোলিয়াম সরবরাহ লাইন ঠিক রাখার কাজ ইত্যাদি।
চলতি জুন মাস থেকে দেশটিতে ৪০ থেকে ৪৮/৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। এই তাপদাহের কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই শ্রমিকদের নিরাপত্তায় এই আইন কার্যকর করা হয়েছে বলে জানায় দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এদিকে বাইরে বা খোলা আকাশের নিচে কাজে নিয়োজিত কর্মী ও এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই আইন মেনে চলতে অনুরোধ জানিয়েছে আবুধাবিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
এই সময়ে অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে দেশটিতে কর্মরত কর্মীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে মধ্যাহ্ন কর্মবিরতি চালু করেছে আমিরাত সরকার।