চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানিতে সৌদি আরবকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থান দখল করেছে মালয়েশিয়া।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরো বা বিএমইটি থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে মে মাসে বিদেশ গেছে ১ লাখ ১ হাজার ৫৫৮ কর্মী। এরমধ্যে শুধুমাত্র মালয়েশিয়াতে গেছে ৩৫ হাজার ১৯০ কর্মী। যা গেল মাসের মোট জনশক্তি রপ্তানির ৩৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বিএমইটির বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পর্কিত পরিসংখ্যানে দেখা যায় এই চিত্র। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় উন্মুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম এক মাসে এতো বেশি সংখ্যক কর্মী গেল দেশটিতে।
মালয়েশিয়ায় শুরুতে কর্মী যাওয়ার গতি কিছুতা কম থাকলেও চলতি বছরের প্রথম থেকেই পুরোদমে কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে। এরমধ্যে জানুয়ারিতে গেছে ২৪ হাজার ৯৯৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৯ হাজার ৩২০, মার্চে ২৮ হাজার ৫৮৯ আর এপ্রিলে গেছে ১৮ হাজার ৫৬৫ কর্মী। সবমিলে গেল ৫ মাসে দেশটিতে পাড়ি দিয়েছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫৮ কর্মী।
এদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র বলছে, দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ২৭ হাজার ৭৫৯ নতুন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২ জুন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩২৮ কর্মীর চাহিদাপত্র সত্যায়ন করেছে হাইকমিশন। আর দেশটিতে পৌঁছেছেন (২ জুন পর্যন্ত) ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪০৩ কর্মী। এছাড়া সত্যায়ন করা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৫ কর্মী বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
অপরদিকে বিএমইটির পরিসখ্যানে মে মাসে বিদেশ যাওয়ার তালিকায় দ্বিত্বিয় অবস্থানে আছে সৌদি আরব। গেল মাসে দেশটিতে পাড়ি দেন ২৯ হাজার ৬৬৭ কর্মী। তবে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে দেশটিতে যান ৮৫ হাজার ২১৯ কর্মী। কিন্তু দেশটিতে কর্মী যাওয়ার এই গতি কমতে শুরু করে গেল মার্চ মাস থেকে। সে মাসে সৌদি আরব গেছে ৩৭ হাজার ২৫৩ কর্মী। আর এপ্রিলে দেশটিতে পাড়ি দেন ৩৪ হাজার ৬৮০ কর্মী।
এছাড়াও, বিএমইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী মে মাসে অন্যান্য দেশের মধ্যে ওমানে গেছে ১১ হাজার ৯২৯ কর্মী, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৭ হাজার ১৪০, সিঙ্গাপুরে ৫ হাজার ৭৪৩, কাতারে ২ হাজার ৯৫০, কুয়েতে ২ হাজার ৪৬৩, জর্ডানে ১ হাজার ৯৮, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮৬৫, যুক্তরাজ্যে ৮৪৬, ইতালিতে ৫৩৫, লেবাননে ৩২৪, মরিশাসে ৮৬, জাপানে ৬০, লিবিয়ায় ৪০, সুদানে ৬ ও মিশরে ৩ ও ইউরোপ-আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেন আরো ২ হাজার ৬১৩ কর্মী।