অবশেষে সৌদি প্রবাসী কর্মীদের প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বহুল আলোচিত সমালোচিত বিজিএল ওভারসিজ লিমিটেড নামের রিক্রুটিং এজেন্সিকে শাস্তির আওতায় আনলো প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ প্রবাস বার্তাকে জানিয়েছেন, “বিজিএল ওভারসীজ লিমিটেড (আর. এল. নম্বর ২০১৭) রিক্রুটিং এজেন্সির লাইন্সেন্স স্থগিত করেছে মন্ত্রনালয়। এই এজেন্সি’সহ আরো তিনটি এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এজন্য তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।”
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী আরো বলেন, “কর্মীর অভিযোগের বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছে মন্ত্রণালয়। শিগগিরই তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” এমনকি অভিযোগের সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলও হতে পারে বলে জানান মন্ত্রী ইমরান আহমাদ।
এর আগে ৭ জুন বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে বিজয় ৭১ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন জানিয়েছিলেন, সৌদিতে কর্মী প্রতারনা ও নির্যাতনের বিষয়ে অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সচিব আরো জানিয়েছিলেন, “গত একমাসে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। কর্মীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট পক্রিয়া মেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যা মন্ত্রণালয়ের একটি চলমান প্রক্রিয়া।” এই বক্তব্যের একদিন পরেই বিজিএল রিক্রুটিং এজেন্সীর লাইসেন্স স্থগিত করলো মন্ত্রণালয়।
তবে অভিযোগকারী সৌদি প্রবাসী মো: খালেক মিয়ার ছোট ভাই হাফিজুর রহমান প্রবাস বার্তাকে জানান, “এখনো তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি মন্ত্রণালয় থেকে। তিনি বলেন, আমরা চাই বিজিএল রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্ত করা হউক এবং শাস্তির আওতায় আনা হউক, যাতে আর কেউ প্রতারিত না হয়।” সেইসাথে সৌদিতে থাকা বড় ভাই খালেক মিয়ার একটি ভালো কোম্পানিতে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
এদিকে গেলো ২৪ মে (বুধবার) বিজিএল ওভারসিস লিমিটেড নামের রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন সৌদি আরব প্রবাসী মোঃ খালেক মিয়ার ছোট ভাই মোঃ হাফিজুর রহমান। এবিষয়ে প্রবাস বার্তায় সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করা হয়। প্রবাস বার্তার ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতিবেদনটির কমেন্ট বক্সে (মন্তব্যের ঘর) আরো অনেকেই এজেন্সিটির নামে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। তারা জানান, কাজ ও আকামা না দিয়ে কর্মীদের গাদাগাদি করে ভিলাতে (গোডাউনের মতো বাসা) আটকে রাখা হয়েছে। অনেককে সরাসরি কোম্পানীর কথা বলে সাপ্লাই কোম্পানীতে কাজ করতে চাপ দেয়া হচ্ছে। এমন শতাধিক কর্মী প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগিরা।
এরই সুত্রে বিজিএল ওভারসীজ লিমিটেড (আর. এল. নম্বর ২০১৭) রিক্রুটিং এজেন্সির লাইন্সেন্স স্থগিত করলো প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়।