কাতারের শ্রমমন্ত্রী আলি বিন সামিথ আল মাররি’র সাথে বৈঠক করেছে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম। শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও কর্মীদের নিরাপত্তা সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) দেশটির শ্রমমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্টিত হয়। এসময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান কাতারের শ্রমমন্ত্রী।
বৈঠকে কাতারে বাংলাদেশের শ্রম বাজার সম্প্রসারণ এবং দেশটিতে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও সেবাখাতে বাংলাদেশ হতে প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম বৈঠকে কাতারে বাংলাদেশি সকল কর্মীর কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষে মিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশি কর্মী ও কমিউনিটির দেখভাল এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাতারের আমির ও শ্রমমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আলোচনাকালে কাতারের শ্রমমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্প্রতি কাতার সফরের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে। এসময় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চলতি বছরের শেষে কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেন দেশটির শ্রমমন্ত্রী।
বৈঠকে শ্রমমন্ত্রী আলি বিন সামিথ আল মাররি আরো উল্লেখ করেন যে, ”নির্মান কর্মী ছাড়াও নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, সেবা ও যোগাযোগখাতে বাংলাদেশ দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর বিষয়টি চিন্তা করতে পারে।” রাষ্ট্রদূত কর্তৃক উত্থাপিত কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ইন্সুরেন্স এবং সিকিউরড পেমেন্ট সিস্টেমের বিষয়ে উল্লেখ করেন তিনি। আরো বলেন, “কাতারের শ্রম আইন প্রনয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাতার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
কাতার ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন যে, দুই দেশের মধ্যে ধর্ম, সংস্কৃতি, ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি ও খাদ্যাভাসে অনেক মিল আছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কাতারে প্রধানমন্ত্রীর দু’বার সফরের পর দেশটির আমিরের আসন্ন বাংলাদেশ সফর এই সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিতে সাহায্য করবে।
অতঃপর রাষ্ট্রদূত কাতারে আরো বেশি দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা উল্লেখ করে এই বিষয়ে তিনি কাতারের শ্রমমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন ।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন মিশন উপ-প্রধান মোঃ ওয়ালিউর রহমান ও মিনিষ্টার (শ্রম) ড. মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান এবং কাতার শ্রম মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।