চলতি মে মাসের ১৯ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ১১৩ কোটি মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ১৯৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৫ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত ১১২ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এরমধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯০ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং রাষ্ট্রের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
এছাড়াও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার ও বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে এই ধারা অব্যাহত থাকলে মে মাসের শেষে গিয়ে এটি ১৮০ কোটি ডলারে দাঁড়াতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যা আগের মাস এপ্রিলের চেয়ে কিছুটা বেশি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ও দ্বিতীয় মাস আগস্টে টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল। কিন্তু পরের মাস থেকেই কমতে থাকে রেমিট্যান্স আসার প্রবাহ। টানা ছয় মাস কেটে গেলেও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি রেমিট্যান্স।
তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের নবম মাস মার্চে আবারও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে প্রবাসী আয়। একই ধারাবাহিকতায় আসতে থাকে এপ্রিলের শুরুর দিকে। তবে এপ্রিলের শেষ দিকে আশা জাগিয়েও পড়ে যায় প্রবাহ। পুরো এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় হয় ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফর্ম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
একই সাথে হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তবে দুইটি বড় ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল ফিতর শেষ হয়েছে। সামনে রয়েছে ঈদুল আজহা। এ কারণে আগামীতে রেমিট্যান্স বেশি পরিমাণ আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।