যুদ্ধবিদ্ধস্থ লিবিয়ায় দীর্ঘদিন পর আবারো কর্মী পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজুর বেংগল লিমিটেড নামে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ৩৫ কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে।
সোমবার লিবিয়াগামী এই কর্মীদের বহির্গমনের পূর্বে নিয়মতান্ত্রিক ও নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে সচেতনতার বিষয়ে “প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম” শীর্ষক এক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বা বিএমইটি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমইটির মহাপরিচালক শহিদুল আলম এনডিসি।
ব্রিফিং অনুষ্ঠানে লিবিয়ায় যাওয়ার আগে ও পরে কর্মীদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এসময় লিবিয়ার স্থানীয় আইন-কানুন, আচার-ব্যাবহার ও সংস্কৃতি সম্পর্কে কর্মীদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
একইসাথে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর এমন কোনো কাজ করা যাবেনা যার ফলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এবং দেশটিতে গিয়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে ব্রিফিং অনুষ্ঠানে আহ্বান জানান বক্তারা। পরে লিবিয়াগামী এই কর্মীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছে জানান বিএমইটির মহাপরিচালক শহিদুল আলম এনডিসি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশার, বায়রার যুগ্ম সচিব মো: ফখরুল ইসলাম ও মো: টিপু সুলতান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বিএমইটির অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এর আগে গেলো বছরের ৮ ডিসেম্বর টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লিবিয়ায় যায় ১৫ কর্মী। দেশটির একটি ঠিকাদার কোম্পানির কন্সট্রাকশন সেকশনে এই কর্মীদের পাঠিয়েছিল রিকুটিং এজেন্সি ফাইম এম ইন্টারন্যাশনাল ও সুফী ইন্টারন্যাশনাল।
২০১১ সালের শেষের দিকে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনালেকের শেষ সময়ে এবং পরবর্তী বছর গুলোতে অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা ও মিলিশিয়া বাহিনী দ্বারা আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় ২০১২ সালে দেশটিতে বাংলাদেশ সরকার দেশটিতে কর্মী পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে লিবিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমান স্থিতিশীল থাকায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও খাত সংশ্লিষ্ট সরকারের সকল শাখার সম্মতিতে গেল বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আবারো কর্মী পাঠানোর ঘোষণা দেয় দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।