মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছে দেশটি থেকে ফেরত আসা সেই ১৯ বাংলাদেশি কর্মী। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮ টায় কর্মীদের বহন করা ফ্লাইটটি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে এই কর্মীদের গ্রহন করেন নিয়োগদাতা কোম্পানির কর্মকর্তারা।
সকাল থেকে মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা এভারলেনটেন এসডিএন বিএইচডি’র এইচ আর কর্মকর্তা মিস সেলি ও অপারেশন হেড মিস ওয়া ১৯ বাংলাদেশি কর্মীকে স্বাগত জানান। এ সময় কর্মীদের কাছে জানতে চাওয়া হয় রিক্রুটিং এজেন্সী তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নিয়েছে কিনা? তখন তারা একবাক্যে সবাই বলেছে, তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। এবার তারা মালয়েশিয়া এসেছেন বিনা খরচে।
এর আগে বুধবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধায় রিক্রুটিং এজেন্সির জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “এই কর্মীদের পুনরায় ভিসা প্রোসেসিং, মেডিকেল থেকে শুরু করে উরজাহাজের টিকেট ক্রয় পর্যন্ত যাবতীয় খরচ বহন করেছে রিক্রুটিং এজেন্সি। কর্মীদের থেকে কোনো অর্থ নেয়া হয়নি এবং কর্মীদেরও কোনো অর্থ খরচ করতে হয়নি। তিনি জানান, এই ১৯ কর্মীর মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আশা অপ্রত্যাশিত এবং এটি একটি অঘটন।”
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রীনল্যান্ড ওভারসিজ লিমিটেড ঢাকা থেকে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার এভারলেনটেন এসডিএন বিএইচডি কোম্পানিতে ২৯ বাংলাদেশি কর্মী পাঠায়।
এসময় কোম্পানি থেকে কর্মীদের রিসিভ করতে গেলে মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন বিভাগ ১০ কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়। তবে বাকি ১৯ জনের ইমিগ্রেশন ডাটা সঠিক না থাকায় ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়।