সুদান থেকে বাংলাদেশিদের ফেরাতে হটলাইন চালু করেছে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। ফিরতে আগ্রহীরা এই হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে একটি পোস্টের মাধ্যমে সুদানে বাংলাদেশ দুতাবাসের হটলাইন নম্বর চালুর কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশে ফিরতে ইচ্ছুক সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দুতাবাসের হটলাইন নম্বরে দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য ফেইসবুকে ওই পোস্টের মাধ্যমে অনুরোধ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ।
১. একরামুল হক, (৩য় সচিব, বাংলাদেশ দূতাবাস, সুদান) যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার + ২৩৪ ৯০৯ ৭৫৫ ১৭৯০
২. জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ অফিসার, যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার ০১৭৩৭১২৫৩৪৯
এরই মধ্যে, সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) লড়াইয়ের শুরুতেই ১৫ এপ্রিল রাজধানী খার্তুমে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) তারেক আহমেদের বাসায় আঘাত হানে মেশিনগানের গুলি। এর এক সপ্তাহ পর, ২২ এপ্রিল বিবদমান দুই পক্ষের লড়াইয়ের সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের জানালা ও দেয়াল ভেদ করে মেশিনগানের গুলি ঢুকে পড়ে। তবে গোলাগুলির এই দুই ঘটনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কেউ হতাহত হননি বলে জানায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।

এদিকে, মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদে অন্য দেশের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
গত ১৫ এপ্রিল দেশটির সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) ক্ষমতার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়লে এখন পর্যন্ত সেখানে অন্তত সাড়ে চার শতাধিক লোক নিহত হওয়ার খবর এসেছে সংবাদ মাধ্যমে। তীব্র সংঘর্ষের মাঝে দেশটির জনগণের মতো সেখানে বসবাসরত অন্য দেশের নাগরিকরাও আটকা পড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো গত কয়েকদিন থেকেই তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে তোড়জোড় শুরু করে।
এর মধ্যে ২৫ এপ্রিল ৭২ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতির আগেই রাজধানী খার্তুম ও আশপাশের আবাসিক এলাকাগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। হাসপাতাল ও অন্যান্য পরিষেবাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে অনেক দেশের দৌড়ঝাঁপের মধ্যে সোমবার লড়াইরত পক্ষগুলো ৭২ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়।
এ অস্ত্রবিরতি মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে তিন দিন পর আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সপ্তাহ খানেকের লড়াইয়ে বহু হতাহতের মধ্যে পালিয়ে গেছেন হাজার হাজার মানুষ। খাবার ও পানি ছাড়াই লোকজনকে বাড়ি ও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করতে হচ্ছে। আর ধীরে ধীরে দুর্মল্য হয়ে উঠছে সেখানকার দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী।