মালয়েশিয়ার বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসা সেই ১৯ কর্মীকে এবার বিনা খরচে দেশটিতে পাঠাচ্ছে রিক্রুটিং এজেন্সি গ্রীনল্যান্ড ওভারসীজ। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আজ (বুধবার) দিবাগত রাত ২টায় এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়া যাবেন এই কর্মীরা। এর আগে রাত ১০ টায় কর্মীদের বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তারা
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধায় রিক্রুটিং এজেন্সিটির জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রবাস বার্তাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “এই কর্মীদের পুনরায় ভিসা প্রোসেসিং, মেডিকেল থেকে শুরু করে উরজাহাজের টিকেট ক্রয় পর্যন্ত যাবতীয় খরচ বহন করেছে রিক্রুটিং এজেন্সি। কর্মীদের থেকে কোনো অর্থ নেয়া হয়নি এবং কর্মীদেরও কোনো অর্থ খরচ করতে হয়নি বলেও জানান তিনি।
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, “এই ১৯ কর্মীর মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আশা অপ্রত্যাশিত এবং এটি একটি অঘটন। যেকোনো কাজ করতে গেলে কিছু না কিছু সমস্যা হতেই পারে, তবে গ্রিনল্যান্ড ওভারসীজ দীর্ঘ ৩৫ বছরের উপরে বিদেশে জনশক্তি রফতানি করে আসছে। সবসময় কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করেই কাজ করে যাচ্ছে। দেশে কিংবা বিদেশে সবখানেই গ্রিনল্যান্ড ওভারসীজ যে কর্মীদের সমাস্যাকে প্রাধান্য দেয় তা এই ১৯ কর্মীকে আবারো মালয়েশিয়ায় পাঠানোর মধ্যে দিয়ে প্রমানিত হলো।”
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রীনল্যান্ড ওভারসিজ লিমিটেড ঢাকা থেকে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার এভারলেনটেন এসডিএন বিএইচডি কোম্পানিতে ২৯ বাংলাদেশি কর্মী পাঠায়। এসময় কোম্পানি থেকে কর্মীদের রিসিভ করতে গেলে মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন বিভাগ ১০ কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয় তবে বাকি ১৯ জনের ইমিগেশন ডাটা সঠিক না থাকায় ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়
এদিকে, সেই ১৯ বাংলাদেশি কর্মীকে মালয়েশিয়ায় আবারো পাঠানোর বিষয়টি দেশটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের লেবার মিনিস্টার নাজমুছ সাদাত সেলিমও নিশ্চিত করেছেন। তাদের রিসিভ করতে এবার বিমানবন্দরে নিয়োগদাতা কোম্পানির প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলেও জানিয়েছেন নাজমুছ সাদাত সেলিম