ঢাকা , রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাহরাইনে অবৈধদের গ্রেফতার অভিযান, প্রবাসীদের সতর্ক করল দূতাবাস প্রবাসীদের কল্যাণে সফল এক উদ্যোগ ‘জীবন বীমা’: মন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১২ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার প্রধানমন্ত্রীর কা‍র্যালয়ের নজরদারিতে বিএমইটি, পরিব‍র্তনের চ্যালেঞ্জে নতুন মহাপরিচালক ২০২৪ সালে হজে যেতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশি অনলাইনে কর্মীদের সাথে প্রতারণা, সতর্ক থাকতে দুবাই কন্স্যুলেটের অনুরোধ কর্মী ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সতর্কবার্তা মালয়েশিয়ায় মৃত্যুদন্ড থেকে রেহাই পেলেন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী প্রবেশের হার উদ্বেগজনক, ‘অ্যান্ডি হল’ ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণা

মালয়েশিয়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

Print Friendly, PDF & Email

 

মালয়েশিয়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতাদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে মালয়েশিয়ার ঈদবাজার। যদিও রাজধানী কুয়ালালামপুরের অনেক বাসিন্দা আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য তাদের নিজ শহরে ফিরে যেতে শুরু করেছেন। তবে অনেকে এখনও রাজধানীতে রয়েছেন এবং শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন।

এদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানে প্রবাসীদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও ভিড় করছেন পছন্দের পোশাক কিনতে। কেনাকাটার জন্য প্রবাসীরা ভিড় করছেন কুয়ালালামপুরের বড় বড় ফ্যাশন হাউজে। পছন্দের কেনাকাটার জন্য ছুটছেন এক বিপণি বিতান থেকে আরেক বিপণি বিতানে। বাংলাদেশি পোশাক এবার স্থানীয়দেরও নজর কাড়ছে।

বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। প্রবাসে থেকেও পছন্দের দেশীয় পোশাক কিনতে পেরে খুশি প্রবাসীরা। ফরিদপুরের রাজু (২৬) মালয়েশিয়ার কেনাঙ্গা ফ্যাশন মলে একটি দোকানে কাজ করেন। এবার তিনি নিজের জন্য শার্ট আর পেন্ট কিনেছেন। মাস শেষ না হলে বেতন মিলছেনা। তবুও দেশে থাকা মা বাবা ভাই বোনদের ঈদের জামা কিনার জন্য টাকা পাঠিয়েছেন। রাজুর মতে পরিবার পরিজনরা খুশি মত ঈদ করতে পারলেই আমার আনন্দ। শুধু রাজুই না, অনেকেই দেশে থাকা তাদের পরিবার ও স্বজনদের টাকা পাঠিয়েছেন। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিক্রেতাদের আশা, সামনে এ চাহিদা আরও বাড়বে।

কেনাকাটার জন্য জনপ্রিয় স্থান হিসাবে পরিচিত বেশ কয়েকটি শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি শপিংমলে ক্রেতাদের ভিড়। ইফতারের পর ভিড় আরও বেড়ে যায়।
কুয়ালালামপুরের সগো শপিংমলের বাথ অ্যান্ড বডি ওয়ার্কস আউটলেটের সহকারী ব্যবস্থাপক অ্যামি আরিফিন বলেন, রমজান মাসজুড়ে ক্রেতাদের ভিড় উৎসবের বাতাস বয়ে এনেছে।
মজলিস আমানাহ রাকয়াত (মারা) বিল্ডিংয়ের একটি বাজু মেলায়ুর দোকানের কর্মী মুহদ নাসরাত মাহিরও প্রায় একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ক্রেতারা সাধারণত বিকেলে ৪টার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আসতে শুরু করেন। প্রতিদিন অনেক ক্রেতা সমাগম ঘটে। শুধু যে শেষ মুহূর্তে ভিড় তা নয়, মাসজুড়েই ক্রেতা সমাগম ভালো ছিল।

ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন আউনি সাফিয়াহ (১৮)। তিনি জানান, তার বাড়ি কেলান্তানে। বাড়ি ফেরার আগে ঈদের কেনাকাটা সারছেন তিনি। সাফিয়া বলেন, আলহামদুল্লিাহ এবারের প্রস্তুতি দুই বছরের আগের তুলনায় অনেক বেশি। উৎসবমুখর পরিবারের সবার জন্য কেনাকাট করছি। অনেক দোকানে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পণ্য কেনা যাচ্ছে।

জালান তারার কাপড় ব্যবসায়ী কামারুদ্দিন হুসেন বলেন, আজ থেকে ছাড় দেওয়া শুরু করেছি। আমি রমজানের শুরু থেকেই এখানে বিক্রি শুরু করেছি। গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া খুবই উত্সাহজনক। ঈদের শেষ মুহূর্তে বিক্রি বাড়াতে বেশ কয়েকটি পণ্য আকর্ষণীয় ছাড় দিয়েছি। আশা করছি শেষ মুহূর্তে আরও বেশি ক্রেতাসমাগম ঘটবে।

Tag :
জনপ্রিয়

বাহরাইনে অবৈধদের গ্রেফতার অভিযান, প্রবাসীদের সতর্ক করল দূতাবাস

মালয়েশিয়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

আপডেট: ০৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
Print Friendly, PDF & Email

 

মালয়েশিয়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতাদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে মালয়েশিয়ার ঈদবাজার। যদিও রাজধানী কুয়ালালামপুরের অনেক বাসিন্দা আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য তাদের নিজ শহরে ফিরে যেতে শুরু করেছেন। তবে অনেকে এখনও রাজধানীতে রয়েছেন এবং শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন।

এদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানে প্রবাসীদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও ভিড় করছেন পছন্দের পোশাক কিনতে। কেনাকাটার জন্য প্রবাসীরা ভিড় করছেন কুয়ালালামপুরের বড় বড় ফ্যাশন হাউজে। পছন্দের কেনাকাটার জন্য ছুটছেন এক বিপণি বিতান থেকে আরেক বিপণি বিতানে। বাংলাদেশি পোশাক এবার স্থানীয়দেরও নজর কাড়ছে।

বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। প্রবাসে থেকেও পছন্দের দেশীয় পোশাক কিনতে পেরে খুশি প্রবাসীরা। ফরিদপুরের রাজু (২৬) মালয়েশিয়ার কেনাঙ্গা ফ্যাশন মলে একটি দোকানে কাজ করেন। এবার তিনি নিজের জন্য শার্ট আর পেন্ট কিনেছেন। মাস শেষ না হলে বেতন মিলছেনা। তবুও দেশে থাকা মা বাবা ভাই বোনদের ঈদের জামা কিনার জন্য টাকা পাঠিয়েছেন। রাজুর মতে পরিবার পরিজনরা খুশি মত ঈদ করতে পারলেই আমার আনন্দ। শুধু রাজুই না, অনেকেই দেশে থাকা তাদের পরিবার ও স্বজনদের টাকা পাঠিয়েছেন। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিক্রেতাদের আশা, সামনে এ চাহিদা আরও বাড়বে।

কেনাকাটার জন্য জনপ্রিয় স্থান হিসাবে পরিচিত বেশ কয়েকটি শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি শপিংমলে ক্রেতাদের ভিড়। ইফতারের পর ভিড় আরও বেড়ে যায়।
কুয়ালালামপুরের সগো শপিংমলের বাথ অ্যান্ড বডি ওয়ার্কস আউটলেটের সহকারী ব্যবস্থাপক অ্যামি আরিফিন বলেন, রমজান মাসজুড়ে ক্রেতাদের ভিড় উৎসবের বাতাস বয়ে এনেছে।
মজলিস আমানাহ রাকয়াত (মারা) বিল্ডিংয়ের একটি বাজু মেলায়ুর দোকানের কর্মী মুহদ নাসরাত মাহিরও প্রায় একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ক্রেতারা সাধারণত বিকেলে ৪টার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আসতে শুরু করেন। প্রতিদিন অনেক ক্রেতা সমাগম ঘটে। শুধু যে শেষ মুহূর্তে ভিড় তা নয়, মাসজুড়েই ক্রেতা সমাগম ভালো ছিল।

ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন আউনি সাফিয়াহ (১৮)। তিনি জানান, তার বাড়ি কেলান্তানে। বাড়ি ফেরার আগে ঈদের কেনাকাটা সারছেন তিনি। সাফিয়া বলেন, আলহামদুল্লিাহ এবারের প্রস্তুতি দুই বছরের আগের তুলনায় অনেক বেশি। উৎসবমুখর পরিবারের সবার জন্য কেনাকাট করছি। অনেক দোকানে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পণ্য কেনা যাচ্ছে।

জালান তারার কাপড় ব্যবসায়ী কামারুদ্দিন হুসেন বলেন, আজ থেকে ছাড় দেওয়া শুরু করেছি। আমি রমজানের শুরু থেকেই এখানে বিক্রি শুরু করেছি। গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া খুবই উত্সাহজনক। ঈদের শেষ মুহূর্তে বিক্রি বাড়াতে বেশ কয়েকটি পণ্য আকর্ষণীয় ছাড় দিয়েছি। আশা করছি শেষ মুহূর্তে আরও বেশি ক্রেতাসমাগম ঘটবে।