চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বা বিএমইটি থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশ গেছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ১০ কর্মী।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পর্কিত বিএমইটির সবশেষ জরিপে দেখা যায় এই চিত্র। পরিসংখ্যানে দেখা যায় শুধুমাত্র সৌদি আরবে গেছে ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭২ কর্মী। যা গেল ৩ মাসের মোট জনশক্তি রফতানির প্রায় ৩৮ শতাংশ। এর মধ্যে মার্চে ৩৭ হাজার ২৫৩, ফেব্রুয়ারিতে ৪২ হাজার ৬২২ ও জানুয়ারিতে ৪২ হাজার ৬৯৭ কর্মী যায় দেশটিতে।
বাংলাদেশি কর্মীদের কাছে বহুল কাঙ্খিত দেশ মালয়েশিয়া। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গেল বছরের আগষ্টে বাংলাদেশের জন্য দেশটির শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়। শুরুতে ধীর গতি থাকলেও চলতি বছরের প্রথম থেকে কর্মী পাঠানোর পালে বইতে শুরু করে হাওয়া । গেল তিন মাসে দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছেন ৮২ হাজার ৮৯৩ কর্মী। এর মধ্যে মার্চে গেছে ২৮ হাজার ৫৭৯, ফেব্রুয়ারিতে ২৯ হাজার ৩২০ এবং জানুয়ারিতে ২৪ হাজার ৯৯৪ কর্মী।
বিদায়ী মার্চের ১৭ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য ৩ লাখ ১৭ হাজার কর্মীর কোটা অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। আর গেল বছরের ৮ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে পৌঁছেছেন ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি কর্মী।
বিএমইটির গেল ৩ মাসের পরিসংখ্যানে বিদেশগামী কর্মীদের পছন্দের তালিকায় ৩য় ও ৪র্থ অবস্থানে আছে যথাক্রমে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ এই তিন মাসে ওমানে গেছে ৪৬ হাজার ৩৬৭ কর্মী। আর আরব আমিরাতে গেছে ২৫হাজার ২৯৫ কর্মী।
এছাড়াও বিএমইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী গেল ৩ মাসে অন্যান্য দেশের মধ্যে সিঙ্গাপুরে ১২ হাজার ৩০৪, কুয়েতে ৭ হাজার ৭৫৩, কাতারে ৬ হাজার ৫১০, ইতালিতে ২ হাজার ১৩৩, দক্ষিন কোরিয়ায়১ হাজার ৬৯৮, জর্ডানে ১ হাজার ৫৪৪, যুক্তরাজ্যে ৮৭১, মরিশাসে ৮৩৯, ব্রুনাইয়ে ৭৪২, লেবাননে ৫৬৮, সুদানে ২০৭, জাপানে ১৯৩, ইরাকে ৩৪, লিবিয়ায় ৩, বাহরাইনে ১ এবং এর বাহিরেও অন্যান্য দেশে গেল ৩ মাসে কর্মী গেছে আরো ১০ হাজার ৪৮৩ কর্মী।
চলমান এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থ বছরে ১২ লাখেরও বেশি কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হবে এবং বাংলাদেশের সর্বকালের রেকর্ড ভাঙবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।