চলতি বছরের মার্চ মাসে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বা বিএমইটি থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশ গিয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৪৩৮ কর্মী।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পর্কিত বিএমইটির সবশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায় এই তথ্য। পরিসংখ্যান তথ্য বলছে, বিদেশগমকারী কর্মীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে সৌদি আরব। মার্চে দেশটিতে কর্মী গিয়েছে ৩৭ হাজার ২৫৩ কর্মী। তবে এর আগের দুই মাসে দেশটিতে গিয়েছে ৮৫ হাজার ৩১৯ কর্মী। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে ৪২ হাজার ৬২২ ও জানুয়ারিতে ৪২ হাজার ৬৯৭ কর্মী।
পরিসংখ্যান তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বহুল আলোচিত শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। গেল এক মাসে দেশটিতে গিয়েছে ২৮ হাজার ৫৭৯ কর্মী। তবে এই সংখ্যা তার আগের মাস ফেব্রুয়ারির চাইতে আড়াই শতাংশ কম হলেও চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে বিএমইটির ছাড়পত্র নিয়ে দেশটিতে গেছে ৮২ হাজার ৮৯৩ কর্মী।
তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে আছে যথাক্রমে ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিদায়ী মার্চ মাসে ওমানে পাড়ি জমিয়েছেন ১৪ হাজার ৪৪২ কর্মী। আর আরব আমিরাতে গিয়েছেন ১০ হাজার ৭২০ কর্মী। যা চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারির চাইতে ৩৮ শতাংশ বেশি। সে মাসে দেশটিতে গিয়েছে ৬ হাজার ৫৮৪ কর্মী। আর তার পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে গিয়েছে ৭ হাজার ৯৯১ কর্মী।
মার্চ মাসের বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পর্কিত বিএমইটির পরিসংখ্যানে দেখা যায় অন্যান্য দেশের মধ্যে সিঙ্গাপুরে গেছে ৫ হাজার ৩৪৩, কুয়েতে ২ হাজার ৯০২, কাতারে ২ হাজার ৩০৮, জর্দানে ৮৯৭, ইতালিতে ৮৫৭, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭৯৪, যুক্তরাজ্যে ৪৫৮, লেবাননে ২৮৫, মরিশাসে ১৬২, সুদানে ৬৮, জাপানে ৫৩ কর্মী। এছাড়াও বিএমইটির ছাড়পত্র নিয়ে অন্যান্য দেশে গেছে ৪ হাজার ৩১৭ কর্মী।
বিদেশে কর্মী যাওয়ার এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখক কর্মী বিদেশ যাবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা।