চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময়সীমা কয়েক দফা বৃদ্ধি করা হলেও পূরণ হয়নি নির্ধারিত কোটা। তবে সবশেষ বর্ধিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কোটা পূরণের আশার কথা জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
রবিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচার রয়েল ইন রেস্টুরেন্ট রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরাম- আর. আর. এফ আয়োজিত হজ প্যাকেজ ২০২৩ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক সেমিনার ও ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এ আশার একথা জানান।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, “এবছর হজে বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ টি কোটা বরাদ্দ রাখা হয়। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ কোটার মধ্যে, নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৪১৬ জন। আর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার কোটার মধ্যে ৯ হাজার ৯৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। বাকি কোটাও পূরণ হয়ে যাবে।”
তিনি আরো বলেন, “এবছরের হজের অতিরিক্ত খরচ কমার সম্ভাবনা না থাকলেও আগামী বছর থেকে উড়োজাহাজের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে আরো পর্যালোচনা করা হবে।
এছাড়া হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, উড়োজাহাজের ভাড়া নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি স্থায়ী কমিটি গঠন করতে হবে। না হলে প্রতি বছরের ভড়া বৃদ্ধির এই ভোগান্তি পোহাতেই হবে। হজ ব্যবস্থাপনায় ট্রলি বা লাগেজ এবং রিপ্লেস বানিজ্যসহ আগের অনেক অনিয়ম কঠোর অবস্থান নিয়ে বন্ধ করা হয়েছে বলেও জানান হাবের সভাপতি।
এর আগে কোটা পূরণ না হওয়ায় হজযাত্রী নিবন্ধন ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ৩০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) নিবন্ধনের বর্ধিত সময় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।