ঢাকা , শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

মালয়েশিয়ায় জুয়া সিন্ডিকেটের মূল হোতা বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ১৫

অভিযানের সময় জব্দকৃত ৩৭টি পাসপোর্ট, ৪৬টি কম্পিউটার, এবং নগদ ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৫০ রিঙ্গিত।

Print Friendly, PDF & Email

 

মালয়েশিয়ায় অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের মূল হোতা বাংলাদেশিসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। ২৮ মার্চ মালয়েশিয়ার সেলাংগর রাজ্যের ক্লাং ও রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৃথক অভিযানে ১৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। সিন্ডিকেটটি একটি স্নোকার পার্লারের গোপন কক্ষে জুয়া কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো, যার মধ্যে ছিল তিনজন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন বাংলাদেশি মাস্টারমাইন্ড।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনই বিদেশী নাগরিক। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫ এবং ৪০ বছর বয়সী দুই ইন্দোনেশিয়ান মহিলাকে, যারা জুয়া খেলার যন্ত্রপাতি পরিচালনা করত এবং তাদের কোনো বৈধ কাজের পাস ছিল না, যার মধ্যে ছিলো একজন ৪০ বছর বয়সী স্থানীয়, যিনি জুয়ার তত্ত্বাবধায়ক।

বৃস্পতিবার (৩০ মার্চ) ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক সরকারী বার্তা সংস্থা বারনামাকে জানিয়েছেন, “গোপন কক্ষে প্রবেশে গ্রাহকদের সিন্ডিকেটের একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করতে হতো।

এছাড়া ইমিগ্রেশন বিভাগ রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৃথক আরও কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয় বাংলাদেশি, একজন নেপালি এবং একজন ইন্দোনেশিয়ান নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ৪০ বছর বয়সী একজন মাস্টারমাইন্ড, যিনি স্থানিয় এক মহিলার প্রবাসী স্বামী। একটি ক্লিনার কোম্পানির মালিকও তিনি । তাদের কাছ থেকে ৪৬টি কম্পিউটার, ৩৭টি পাসপোর্ট এবং নগদ ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৫০ রিঙ্গিত জব্দ করা হয়েছে।

পরিচালক জানিয়েছেন, “জব্দ করা নগদ অর্থের উপর ভিত্তি করে, এই সিন্ডিকেট প্রতি বছর ১.৩ থেকে ১.৫ মিলিয়ন রিঙ্গিত ইনকাম করতো তারা।”

সর্বশেষ তথ্যে জানাগেছে, আটককৃতদের ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের কাজে সহায়তা করায় স্থানীয় এক ব্যক্তিকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ১৪ জন বিদেশীকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে আরোও অধিকতর তদন্ত করা হবে বলে সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে।

Tag :
জনপ্রিয়

মালয়েশিয়ায় মৃত্যুদন্ড থেকে রেহাই পেলেন বাংলাদেশি

মালয়েশিয়ায় জুয়া সিন্ডিকেটের মূল হোতা বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ১৫

আপডেট: ০১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩
Print Friendly, PDF & Email

 

মালয়েশিয়ায় অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের মূল হোতা বাংলাদেশিসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। ২৮ মার্চ মালয়েশিয়ার সেলাংগর রাজ্যের ক্লাং ও রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৃথক অভিযানে ১৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। সিন্ডিকেটটি একটি স্নোকার পার্লারের গোপন কক্ষে জুয়া কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো, যার মধ্যে ছিল তিনজন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন বাংলাদেশি মাস্টারমাইন্ড।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনই বিদেশী নাগরিক। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫ এবং ৪০ বছর বয়সী দুই ইন্দোনেশিয়ান মহিলাকে, যারা জুয়া খেলার যন্ত্রপাতি পরিচালনা করত এবং তাদের কোনো বৈধ কাজের পাস ছিল না, যার মধ্যে ছিলো একজন ৪০ বছর বয়সী স্থানীয়, যিনি জুয়ার তত্ত্বাবধায়ক।

বৃস্পতিবার (৩০ মার্চ) ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক সরকারী বার্তা সংস্থা বারনামাকে জানিয়েছেন, “গোপন কক্ষে প্রবেশে গ্রাহকদের সিন্ডিকেটের একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করতে হতো।

এছাড়া ইমিগ্রেশন বিভাগ রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৃথক আরও কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয় বাংলাদেশি, একজন নেপালি এবং একজন ইন্দোনেশিয়ান নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ৪০ বছর বয়সী একজন মাস্টারমাইন্ড, যিনি স্থানিয় এক মহিলার প্রবাসী স্বামী। একটি ক্লিনার কোম্পানির মালিকও তিনি । তাদের কাছ থেকে ৪৬টি কম্পিউটার, ৩৭টি পাসপোর্ট এবং নগদ ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৫০ রিঙ্গিত জব্দ করা হয়েছে।

পরিচালক জানিয়েছেন, “জব্দ করা নগদ অর্থের উপর ভিত্তি করে, এই সিন্ডিকেট প্রতি বছর ১.৩ থেকে ১.৫ মিলিয়ন রিঙ্গিত ইনকাম করতো তারা।”

সর্বশেষ তথ্যে জানাগেছে, আটককৃতদের ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের কাজে সহায়তা করায় স্থানীয় এক ব্যক্তিকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ১৪ জন বিদেশীকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে আরোও অধিকতর তদন্ত করা হবে বলে সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে।