ঢাকা , শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

দ. আফ্রিকায় লরিচাপায় আহত আরও একজনের মৃত্যু

Print Friendly, PDF & Email

 

দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী কেপটাউনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আনিসুল হক ওরফে মিলন (২৮) মারা গেছে। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

মিলন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রামানন্দপুর গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে। এ নিয়ে গেল শুক্রবার সকালে ঘটা ওই দুর্ঘটনায় ছয়জন মারা গেলেন।

নিহতের ছোট ভাই রিমন মিয়াজী বলেন, তাদের দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে আনিসুল ছিলেন সবার বড়। তারও (রিমন) দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার কথাবার্তা চলছিল। একমাত্র উপার্জনক্ষম আনিসুলের পাঠানো টাকায় তাদের পরিবার চলত। ছোট বোনের বিয়েও হয়েছে তার পাঠানো টাকায়।

তিনি আরো বলেন, এর আগে একবার দক্ষিণ আফ্রিকায় তার ভাই সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বাবা বাহার মিয়া কথা বলতে পারছেন না। লাশ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছে আনিসুলের পরিবার।

রিমন আরো বলেন, আমার বড় ভাই মিলন গত কয়েক দিন আগে খালাতো বোনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু নতুন বউকে ঘরে তোলা হলো না। করোনা ও কাগজপত্র ঠিক করাসহ নানা কারণে তার দেশে ফেরা বিলম্বিত হয়।

এছাড়া শুক্রবার দেশে আসার জন্যই তিনি বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। অন্যরাও তার সাথে প্রাইভেটকারে ছিল। দেশে ফিরে তার বিয়ের অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। এ জন্য তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিয়ের অনেক বাজারও করেছিলেন।

এ দুর্ঘটনায় নিহত অন্য পাঁচজন হলেন ফেনী সদর উপজেলার বিরলী গ্রামের ঈসমাইল হোসেন (৩২), দাগনভূঞার মমারিজপুর গ্রামের রাজু আহম্মেদ (৩৪), দক্ষিণ নেয়াজপুর গ্রামের মোস্তফা কামাল (৪০), সোনাগাজীর দক্ষিণ চর মজিলিশপুর গ্রামের আবুল হোসেন (৪২) ও তার ছেলে নাদিম হোসেন (১০)।

সূত্র: ইউএনবি

Tag :
জনপ্রিয়

মালয়েশিয়ায় মৃত্যুদন্ড থেকে রেহাই পেলেন বাংলাদেশি

দ. আফ্রিকায় লরিচাপায় আহত আরও একজনের মৃত্যু

আপডেট: ০৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
Print Friendly, PDF & Email

 

দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী কেপটাউনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আনিসুল হক ওরফে মিলন (২৮) মারা গেছে। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

মিলন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রামানন্দপুর গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে। এ নিয়ে গেল শুক্রবার সকালে ঘটা ওই দুর্ঘটনায় ছয়জন মারা গেলেন।

নিহতের ছোট ভাই রিমন মিয়াজী বলেন, তাদের দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে আনিসুল ছিলেন সবার বড়। তারও (রিমন) দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার কথাবার্তা চলছিল। একমাত্র উপার্জনক্ষম আনিসুলের পাঠানো টাকায় তাদের পরিবার চলত। ছোট বোনের বিয়েও হয়েছে তার পাঠানো টাকায়।

তিনি আরো বলেন, এর আগে একবার দক্ষিণ আফ্রিকায় তার ভাই সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বাবা বাহার মিয়া কথা বলতে পারছেন না। লাশ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছে আনিসুলের পরিবার।

রিমন আরো বলেন, আমার বড় ভাই মিলন গত কয়েক দিন আগে খালাতো বোনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু নতুন বউকে ঘরে তোলা হলো না। করোনা ও কাগজপত্র ঠিক করাসহ নানা কারণে তার দেশে ফেরা বিলম্বিত হয়।

এছাড়া শুক্রবার দেশে আসার জন্যই তিনি বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। অন্যরাও তার সাথে প্রাইভেটকারে ছিল। দেশে ফিরে তার বিয়ের অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। এ জন্য তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিয়ের অনেক বাজারও করেছিলেন।

এ দুর্ঘটনায় নিহত অন্য পাঁচজন হলেন ফেনী সদর উপজেলার বিরলী গ্রামের ঈসমাইল হোসেন (৩২), দাগনভূঞার মমারিজপুর গ্রামের রাজু আহম্মেদ (৩৪), দক্ষিণ নেয়াজপুর গ্রামের মোস্তফা কামাল (৪০), সোনাগাজীর দক্ষিণ চর মজিলিশপুর গ্রামের আবুল হোসেন (৪২) ও তার ছেলে নাদিম হোসেন (১০)।

সূত্র: ইউএনবি