ঢাকা , শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরিবার খুঁজছেন সৌদি ফেরত এক বৃদ্ধ প্রবাসী

সৌদি ফেরত প্রবাসী আবুল কাশেম।

Print Friendly, PDF & Email

 

সৌদি আরব ফেরত এক প্রবাসী বৃদ্ধ তাঁর পরিবারকে খুঁজছেন। তিনি নিজের নাম বলছেন আবুল কাশেম। তাঁর দাবি, ২৫ বছর আগে তিনি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তাঁর তিন পুত্র ও ছয়কন্যাসহ অনেক আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। তবে সুনির্দিষ্টভাবে তিনি তাঁর ঠিকানা বলতে পারছেন না। অনেক কিছু ভুলে যান। বর্তমানে তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশান ওয়েলফেয়ার সেন্টারে অবস্থান করছেন।

ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগামের কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান জানান, বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশসহ সবার সহযোগিতায় বিদেশফেরতদের জন্য আমরা নানান ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। এরই অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশ শনিবার বিকেলে ওই বৃদ্ধকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে দেন। ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী এই বৃদ্ধ সম্ভবত শুক্রবার দিবাগত রাতে জেদ্দা থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছেন। তাঁর কাছে কোন পাসপোর্ট ছিল না। তিনি ট্রাভেল পাস নিয়ে এসেছেন।

শরিফুল হাসান জানান, শারিরীকভাবে সুস্থ মনে হলেও সম্ভবত তিনি ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত। এ কারণেই তিনি সঠিকভাবে তাঁর ঠিকানা বলতে পারছেন না। তিনি জানাচ্ছেন তাঁর নাম আবুল কাশম। পিতার নাম ফজেল আহমেদ। মাতা সাবানা। স্ত্রীর নাম বলছেন আমেনা। নিজের ঠিকানা তিনি কখনো বলছেন চট্টগ্রামের নয়াবাজার। কখনো বলছেন টেকনাফ। আবার কখনো রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের গরিশংকরহাটের কথাও বলছেন। আবার বলছেন, চট্টগ্রামের নতুন বাজার হালিশহরের কাছে, ঈদগাহের মাঠ বউ বাজার এলাকায় তাঁর ছেলের তরকারির দোকান আছে। আমরা তাঁর বাড়ি কোথায় নিশ্চিত হতে না পারলেও ভাষা শুনে এটুকু বুঝতে পারছি তার বাড়ি চট্টগ্রাম অঞ্চলে।

আবুল কাশেমের দাবি, তাঁর ৬ মেয়ে ও ৩ ছেলে রয়েছে। তাঁর তিন ছেলের নাম মান্নান, নূর হাসান, এনামুল হাসান। এর মধ্যে নূর হাসানের তরকারির দোকান আছে। ছোট ছেলে এনামুল হাসান দুবাই থাকেন। মান্নান সৌদি থাকেন বলে দাবি তাঁর। ৮-১০ জন নাতি নাতনি নাকি আছেন। কিন্তু যেহেতু দীর্ঘ ২৫ বছর দেশে নেই সঠিকভাবে সব বলতে পারেন না। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী বিমানে ওঠার আগে পরিবারের সাথে কথা বলেছেন।‌

শরিফুল হাসান বলেন, আমরা চট্টগ্রামের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। হালিশহর ও টেকনাফে খোঁজখবর করছি। বিমানবন্দরের পুলিশসহ পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা মনে করছি সবার সহযোগিতা পেলে তাকে তাঁর পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া সম্ভব। কেউ তাঁকে চিনতে পারলে বা কোন তথ্য পেলে ব্র্যাক মাইগ্রেশান ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল-আমিন নয়নের সাথে এই নম্বরে ০১৭১২১৯৭৮৫৪ যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।

Tag :

পরিবার খুঁজছেন সৌদি ফেরত এক বৃদ্ধ প্রবাসী

আপডেট: ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
Print Friendly, PDF & Email

 

সৌদি আরব ফেরত এক প্রবাসী বৃদ্ধ তাঁর পরিবারকে খুঁজছেন। তিনি নিজের নাম বলছেন আবুল কাশেম। তাঁর দাবি, ২৫ বছর আগে তিনি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তাঁর তিন পুত্র ও ছয়কন্যাসহ অনেক আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। তবে সুনির্দিষ্টভাবে তিনি তাঁর ঠিকানা বলতে পারছেন না। অনেক কিছু ভুলে যান। বর্তমানে তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশান ওয়েলফেয়ার সেন্টারে অবস্থান করছেন।

ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগামের কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান জানান, বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশসহ সবার সহযোগিতায় বিদেশফেরতদের জন্য আমরা নানান ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। এরই অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশ শনিবার বিকেলে ওই বৃদ্ধকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে দেন। ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী এই বৃদ্ধ সম্ভবত শুক্রবার দিবাগত রাতে জেদ্দা থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছেন। তাঁর কাছে কোন পাসপোর্ট ছিল না। তিনি ট্রাভেল পাস নিয়ে এসেছেন।

শরিফুল হাসান জানান, শারিরীকভাবে সুস্থ মনে হলেও সম্ভবত তিনি ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত। এ কারণেই তিনি সঠিকভাবে তাঁর ঠিকানা বলতে পারছেন না। তিনি জানাচ্ছেন তাঁর নাম আবুল কাশম। পিতার নাম ফজেল আহমেদ। মাতা সাবানা। স্ত্রীর নাম বলছেন আমেনা। নিজের ঠিকানা তিনি কখনো বলছেন চট্টগ্রামের নয়াবাজার। কখনো বলছেন টেকনাফ। আবার কখনো রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের গরিশংকরহাটের কথাও বলছেন। আবার বলছেন, চট্টগ্রামের নতুন বাজার হালিশহরের কাছে, ঈদগাহের মাঠ বউ বাজার এলাকায় তাঁর ছেলের তরকারির দোকান আছে। আমরা তাঁর বাড়ি কোথায় নিশ্চিত হতে না পারলেও ভাষা শুনে এটুকু বুঝতে পারছি তার বাড়ি চট্টগ্রাম অঞ্চলে।

আবুল কাশেমের দাবি, তাঁর ৬ মেয়ে ও ৩ ছেলে রয়েছে। তাঁর তিন ছেলের নাম মান্নান, নূর হাসান, এনামুল হাসান। এর মধ্যে নূর হাসানের তরকারির দোকান আছে। ছোট ছেলে এনামুল হাসান দুবাই থাকেন। মান্নান সৌদি থাকেন বলে দাবি তাঁর। ৮-১০ জন নাতি নাতনি নাকি আছেন। কিন্তু যেহেতু দীর্ঘ ২৫ বছর দেশে নেই সঠিকভাবে সব বলতে পারেন না। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী বিমানে ওঠার আগে পরিবারের সাথে কথা বলেছেন।‌

শরিফুল হাসান বলেন, আমরা চট্টগ্রামের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। হালিশহর ও টেকনাফে খোঁজখবর করছি। বিমানবন্দরের পুলিশসহ পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা মনে করছি সবার সহযোগিতা পেলে তাকে তাঁর পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া সম্ভব। কেউ তাঁকে চিনতে পারলে বা কোন তথ্য পেলে ব্র্যাক মাইগ্রেশান ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল-আমিন নয়নের সাথে এই নম্বরে ০১৭১২১৯৭৮৫৪ যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।