২০২৩ সালে পবিত্র হজের জন্য সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করতে পারবেন, এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ১৫ হাজার এবং বাকিরা যাবে বেসরকারিভাবে।
৯ জানুয়ারি (সোমবার) সৌদি আরবের জেদ্দায় এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খাঁনের নেতৃত্বে ৩ তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করে।
জেদ্দায় দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম এবং হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ হাব’র সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
চুক্তি অনুষ্ঠান শেষে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খাঁন জানান, বাংলাদেশি হজ্জাত্রীদের হজ পালনে কি কি সমস্যা ছিলো এর আগে তা সমাধানে কি করণীয় সে বিষয়ে সৌদি প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। সকল সমাস্যা সমাধানে দু-দেশ একসাথে কাজ করবে। তিনি আশা করছেন পূর্বের যে কোনো বছরের চাইতে চলতি বছর হজ পালনে বাংলাদেশি হজ্জাত্রীরা বেশি সাচ্ছন্দবোধ করবেন।
হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান , চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এবছর থাকছেনা বয়সসীমার কোনো প্রতিবন্ধকতা। যে কেউ অংশ নিতে করতে পারবেন হজে। এছাড়াও চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশি হজ যাত্রীদের সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে ঢাকায়। রুট টু-মক্কা এর আওতায় হাজীদের লাগেজ বিমান থেকে সরাসরি মক্কা মদিনার আবাসনে পৌঁছে দেয়া হবে। এতে লাগেজ বিড়ন্বনা হ্রাস পাবে বলেও জানান তিনি।
গেল বছর শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশি হজ যাত্রীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন। সেই তুলনায় এবছর দ্বিগুনেরও বেশি বাংলাদেশি হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে চলতি বছরের ২৮ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
হজ চুক্তি অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটর কনসাল জেনারেল নাজমুল হক, হজ কাউন্সিলর জহিরুল হক সহ সৌদি ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা।