মালয়েশিয়া যেতে কর্মীদের অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে কারো কাছ থকে নির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ায় মন্ত্রনালয় কোনো ব্যাবস্থা নিতে পারছে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর ) বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান তিনি। তিনি বলেন, কারো কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলেই প্রয়জনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবে মন্ত্রনালয়। একইসাথে অভিবাসন খরচ নিয়ন্ত্রণে ডাটা ব্যাংকের পুরোপুরি ব্যবহার নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সচিব জানান, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের প্রথম ৫ মাসে ৪ লাখ ১২ হাজার ২৭০ কর্মী বিদেশে গেছেন। এই ধারাবাহিকতা থাকলে অর্থবছরে ৯ থেকে ১০ লাখ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রবাসী কল্যাণ সচিব।
এছাড়াও নতুন শ্রমবাজার সম্পর্কে সচিব আরো জানান, গ্রিসের সাথে বাংলাদেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আলবেনিয়া, মাল্টা ও বসনিয়ার সাথেও কর্মী প্রেরণ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। সেইসাথে কম্বোডিয়া, উজবেকিস্তান, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়াসহ আফ্রিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশ এবং জাপান, চীন, ক্রোয়েশিয়া, সেনেগাল, বুরুন্ডি, সিশেলস-এ কর্মী প্রেরণ শুরু হয়েছে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
সংবাদ সম্মেলনে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিএমইটি মহাপরিচালক শহীদুল আলম এনডিসি জানান, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৪১ কর্মী পাঠানোর জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নিয়োগ অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ৮ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার কর্মী গিয়েছে দেশটিতে।
১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালনের নানা আয়োজনের প্রস্তুতির কথা জানানো হয় সংবাদ সমকরতারা।সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর একান্ত সচিব আহমদ কবির, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান ও বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেনসহ মন্ত্রনালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।