সৌদি আরবের শ্রমবাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে দেশটির জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট। এমনকি নতুন শ্রমবাজার খুঁজে বের করে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতেও কাজ করে যাচ্ছে কনস্যুলেটের শ্রম কল্যাণ উইং। শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার অক্লান্ত পরিশ্রমের সুবাদে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর বন্ধ থাকার পর জেদ্দাস্থ বিন লাদেন কোম্পানি পুনরায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে। এই কোম্পানিতে অনেক বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত রয়েছেন।
দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় তারা জেদ্দা কনস্যুলেটের দ্বিতীয় সচিব ফাহমি মোঃ সায়েফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম সরকার-এর নিকট বাংলাদেশি একটি রিক্রুটিং এজেন্সির নামে ১২৮৫ জন কর্মীর ডিমান্ড লেটার তুলে দেন। পরবর্তীতে জেদ্দা কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সেলর কাজী এমদাদুল ইসলামের নির্দেশনায় কনস্যুলেটের প্রতিনিধি দল সরেজমিনে কোম্পানি পরিদর্শন করেছেন। তারা বিন লাদেন কোম্পানির এইচ আর রিলেশন ম্যানেজার আলী হাজাজ আল জাহরানি’র সঙ্গে বৈঠক করেন।
উক্ত বৈঠকে তারা বাংলাদেশি কর্মীদের রিক্রুটিং ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আলী হাজাজ আল জাহরানি বাংলাদেশি কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি জানিয়েছেন, বিনা খরচে বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়োগ করবেন। খুব শিগগিরই তারা আরো অধিক সংখ্যক দক্ষ কর্মী বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ করবেন বলে কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেছেন। কারণ বাংলাদেশি কর্মীরা অত্যাধিক কঠোর পরিশ্রমি এবং কাজ-কর্মে অধিকতর মনযোগী বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কোম্পানিটির সার্বিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, কোম্পানিতে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশি কর্মীরাই সঠিকভাবে তাদের বেতন ভাতাদি পাচ্ছেন।
জেদ্দাস্থ শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন কোম্পানি অর্থাৎ যেখানে অধিক সংখ্যক বাংলাদেশি কাজ করছেন তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। কোম্পানির উচ্চ পর্যায়ে তারা নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রাখছেন এবং আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী যেন নিয়োগ দেয়া যায় সে ব্যাপারে তারা সচেষ্ট রয়েছেন। এ সমস্ত সম্মানিত প্রবাসীগণ হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে দেশে দেশে নিয়মিত রেমিট্যান্স প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন।