ঢাকা , শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যে কারণে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ক‍র্মী নিচ্ছে মালয়েশিয়া

বিমানবন্দরে ক‍র্ম‍ীদের সঙ্গে মন্ত্রী ইমরান আহমদ (ফাইল ছবি)

Print Friendly, PDF & Email

 

সরকারি ব্যাবস্থাপনায় বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সা‍‍র্ভিসেস লিমিটেড- বোয়েসেলের মাধ্যমে তিন ধাপে মালয়েশিয়া গেল ৯০ কর্মী। ‘স্পেশাল ওয়ান-অব রিক্রুটমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় বিনা খরচে বা বিনা অভিবাসন ব্যয়ে দেশটিতে গিয়েছে এই কর্মীরা। সবশেষ বৃহস্পতিবার (১লা ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে মালয়েশিয়া গেছে কর্মীরা। সেদিন বিদেশ থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এর আগে ২৯ নভেম্বর ৩০ ক‍‍র্মীর প্রথম ফ্লাইটের মাধ্যমে এই পদ্ধতিতে দেশটিতে ক‍‍র্মী যাওয়া শুরু হয়৤

মূলত বিনা অভিবাসন ব্যয় বা খরচে ক‍‍‍‍র্মী নিয়োগ নিশ্চিত হকতেই বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির বাইরে সরকারি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেলের মাধ্যমে ক‍‍‍‍র্মী নিচ্ছে মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা৤ প্রথম দিকে প্লান্টেশন খাতে এই ক‍‍‍‍র্মী নিয়োগ দেয়া হবে৤ কিন্তু বোয়েসেলের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কারো কারো৤ কারণ এর আগেও জিটুজি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় ক‍‍‍‍র্মী পাঠাতে সফল হয়নি প্রতিষ্ঠানটি৤

ক‍‍র্মীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানে আগে থেকে ক‍‍‍‍র্মরত তাদের স্বজন বা পরিচিতজনদের মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন৤ পরে সেখান থেকে বোয়েসেলের কাছে সেই তথ্য পাঠানো হয়৤ আর বোয়েসেল বাকি প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের মালয়েশিয়া পাঠাচ্ছে৤

বোয়েসেল সূত্র বলছে, সরকারি ব্যাবস্থাপনায় মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সেক্টরে ১০ হাজার কর্মী পাঠানোর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দেশটির ৬টি কোম্পানি থেকে ডিমান্ড পেয়েছেন ১ হাজার কর্মীর। এর মধ্যে মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্লান্টেশন কোম্পানি ইউনাইটেড প্লান্টেশন (ইউপি) থেকে ডিমান্ড পেয়েছেন ৫৫০ কর্মীর। প্রাথমিকপর্যায় বোয়েসেলের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এরইমধ্যে ৩ ধাপে ৯০ কর্মীকে পাঠানো হয়েছে মালয়েশিয়ায়।

‘স্পেশাল ওয়ান-অব রিফ্রুটমেন্ট প্রজেক্ট’ আওতায় বোয়েসেল-এর মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর খরচ প্রায় ৪৬ হাজার টাকা। তবে মালয়েশিয়ার ইউনাইটেড প্লান্টেশন কোম্পানি তাদের কর্মী প্রেরণ সংক্রান্ত সকল খরচ বহন করায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে মালয়েশিয়া যাচ্ছে কর্মীরা। আর কোনো খরচ ছাড়া মালয়েশিয়া যেতে পেরে আনন্দিত এই কর্মীরা।

করোনা পরবর্তী সময় বিদেশী কর্মী সংকটে থাকা মালয়েশিয়া গেল বছরের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সাথে একটি সমঝোতা স্বারক সই করে। এরপর চলতি বছরের ৮ আগস্ট থেকে অনুমোদিত বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে কর্মী যাওয়া শুরু হয় মালয়েশিয়ায়। তবে শুরুতে ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠানোর অনুমতি পেলেও পরে আরো দুই ধাপে মোট ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অনুমতি দেয় মালয়েশিয়া। বর্তমানে এই এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে নিয়মিত কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে।

Tag :

যে কারণে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ক‍র্মী নিচ্ছে মালয়েশিয়া

আপডেট: ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
Print Friendly, PDF & Email

 

সরকারি ব্যাবস্থাপনায় বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সা‍‍র্ভিসেস লিমিটেড- বোয়েসেলের মাধ্যমে তিন ধাপে মালয়েশিয়া গেল ৯০ কর্মী। ‘স্পেশাল ওয়ান-অব রিক্রুটমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় বিনা খরচে বা বিনা অভিবাসন ব্যয়ে দেশটিতে গিয়েছে এই কর্মীরা। সবশেষ বৃহস্পতিবার (১লা ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে মালয়েশিয়া গেছে কর্মীরা। সেদিন বিদেশ থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এর আগে ২৯ নভেম্বর ৩০ ক‍‍র্মীর প্রথম ফ্লাইটের মাধ্যমে এই পদ্ধতিতে দেশটিতে ক‍‍র্মী যাওয়া শুরু হয়৤

মূলত বিনা অভিবাসন ব্যয় বা খরচে ক‍‍‍‍র্মী নিয়োগ নিশ্চিত হকতেই বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির বাইরে সরকারি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেলের মাধ্যমে ক‍‍‍‍র্মী নিচ্ছে মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা৤ প্রথম দিকে প্লান্টেশন খাতে এই ক‍‍‍‍র্মী নিয়োগ দেয়া হবে৤ কিন্তু বোয়েসেলের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কারো কারো৤ কারণ এর আগেও জিটুজি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় ক‍‍‍‍র্মী পাঠাতে সফল হয়নি প্রতিষ্ঠানটি৤

ক‍‍র্মীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানে আগে থেকে ক‍‍‍‍র্মরত তাদের স্বজন বা পরিচিতজনদের মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন৤ পরে সেখান থেকে বোয়েসেলের কাছে সেই তথ্য পাঠানো হয়৤ আর বোয়েসেল বাকি প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের মালয়েশিয়া পাঠাচ্ছে৤

বোয়েসেল সূত্র বলছে, সরকারি ব্যাবস্থাপনায় মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সেক্টরে ১০ হাজার কর্মী পাঠানোর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দেশটির ৬টি কোম্পানি থেকে ডিমান্ড পেয়েছেন ১ হাজার কর্মীর। এর মধ্যে মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্লান্টেশন কোম্পানি ইউনাইটেড প্লান্টেশন (ইউপি) থেকে ডিমান্ড পেয়েছেন ৫৫০ কর্মীর। প্রাথমিকপর্যায় বোয়েসেলের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এরইমধ্যে ৩ ধাপে ৯০ কর্মীকে পাঠানো হয়েছে মালয়েশিয়ায়।

‘স্পেশাল ওয়ান-অব রিফ্রুটমেন্ট প্রজেক্ট’ আওতায় বোয়েসেল-এর মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর খরচ প্রায় ৪৬ হাজার টাকা। তবে মালয়েশিয়ার ইউনাইটেড প্লান্টেশন কোম্পানি তাদের কর্মী প্রেরণ সংক্রান্ত সকল খরচ বহন করায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে মালয়েশিয়া যাচ্ছে কর্মীরা। আর কোনো খরচ ছাড়া মালয়েশিয়া যেতে পেরে আনন্দিত এই কর্মীরা।

করোনা পরবর্তী সময় বিদেশী কর্মী সংকটে থাকা মালয়েশিয়া গেল বছরের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সাথে একটি সমঝোতা স্বারক সই করে। এরপর চলতি বছরের ৮ আগস্ট থেকে অনুমোদিত বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে কর্মী যাওয়া শুরু হয় মালয়েশিয়ায়। তবে শুরুতে ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠানোর অনুমতি পেলেও পরে আরো দুই ধাপে মোট ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অনুমতি দেয় মালয়েশিয়া। বর্তমানে এই এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে নিয়মিত কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে।